শম্পা গুপ্ত : পুরুলিয়ার জাতীয় সরোবর সাহেব বাঁধ সংক্রান্ত ফাইল লোপাট হয়ে গেল পুরুলিয়া পুরসভা থেকে। ফলে এই সরোবরের জন্য বরাদ্দ কোনও টাকার হিসেবও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবছর শীতকালে পর্যটকদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে এই সাহেব বাঁধে। সেই সাহেব বাঁধের জাতীয় সরোবর সংক্রান্ত ফাইল পুরসভা থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার পুরসভার সামনে বিক্ষোভে সামিল হল বিজেপি।
২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল পুরুলিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইতিহাস প্রসিদ্ধ সাহেব বাঁধকে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক জাতীয় সরোবরের স্বীকৃতি পায়। পুরুলিয়ার বাগমুন্ডির তৎকালীন বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের উদ্যোগে কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সাহায্যে সাহেব বাঁধকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়।
শোনা যায়, পুরুলিয়া শহরের জল সমস্যা সমাধানে ১৮৪৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারকে কর্নেল টিকলে জেলের কয়েদিদের দিয়ে ৫০ একর জায়গার উপর এই জলাধার খননের কাজ শুরু করেন। ৫ বছর ধরে চলে এই খনন কাজ চলে। ১৮৪৮ সালে জলাধার খননের কাজ শেষ হলে কর্নেল টিকলে সাহেবের নাম অনুসারে এই জলাধারের নামকরণ করা হয় সাহেব বাঁধ। পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামী ঋষি নিবারণচন্দ্র ঘোষের নামানুসারে সাহেব বাঁধের নামকরণ করা হয় নিবারণ সায়র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন