সমকালীন প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দুই ধর্মীয় স্থান চাকলা এবং কচুয়া ধাম পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই দুই স্থানে যে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, তার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি, সেখানে মন্দির কমিটির সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই দুই স্থানে কিছুদিন উন্নয়নের কাজ বন্ধ থাকলেও ফের সেই কাজ শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
১৭ নভেম্বর মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ওই বৈঠকে এই জেলার বিভিন্ন কাজকর্মের পরিসংখ্যন নিয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি একাধিক উন্নয়নের কাজ করার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে কচুয়া ও চাকলায় লোকনাথ মন্দিরের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যে, এই দুই স্থানে উন্নয়নমূলক কাজ কতটা এগিয়েছে, সেব্যাপারে এলাকা পরিদর্শন করে তাঁর কাছে রিপোর্ট পাঠাতে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি এই দলে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও এই প্রতিনিধি দলে রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সে নির্দেশ অনুযায়ী বুধবার দুপুরে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক সহ প্রশাসনের একটি পরিদর্শক দল হাজির হন কচুয়া ও চাকলা লোকনাথ মন্দিরে। মন্দির কমিটির সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকও হয়। পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, 'করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুদিন এই দুই স্থানে উন্নয়নের কাজ কিছুটা ধমকে রয়েছে। তারমধ্যেই প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই দুই স্থানের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় অনুকুল ঠাকুর, ওঙ্কারনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়ির উন্নয়নের কাজ চলছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন