সমকালীন প্রতিবেদন : ২০১৫ সালের বনগাঁ পুরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যর প্রকাশ্য মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানে শঙ্কর আঢ্যর মন্তব্যকে 'পাগলের প্রলাপ' বলে আখ্যায়িত করে তাঁর কাজকর্মের বিরোধীতা করে তাঁর বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জানান দলের নেতৃত্ব। তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীন কলহ প্রকাশ্যে চলে আসায়, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
দিন কয়েক আগে বনগাঁয় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে শঙ্কর আঢ্য যে মন্তব্য করেন তাতে প্রকাশ পায় যে, দলের নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি এবং দলের কর্মীরা ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একপ্রকার অন্যায় পথ অবলম্বন করে সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী চক্রবর্তীকে জয়ী করিয়েছিলেন। এই কাজ করা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বড় ভুল ছিল বলে উল্লেখ করে, তারজন্য তিনি এদিন প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন।
শঙ্কর আঢ্যর এই মন্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় এবং সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পরতে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে পুরসভার প্রাক্ত কাউন্সিলররা ছাড়াও দলের একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ দাবি করেন, 'শঙ্কর আঢ্য নিজের ওয়ার্ড এবং নিজের স্ত্রী তাঁর ওয়ার্ডে কিভাবে জিতেছেন, তা বনগাঁর মানুষ জানেন। এতোদিন পর ব্যক্তিগত স্বার্থে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কথা উল্লেখ করে দলের উচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সন্দীপ দেবনাথ আরও অভিযোগ করেন, 'বনগাঁ পুরসভা এলাকায় এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে তৃণমূল ২০ হাজার ভোটে এগিয়েছিল, সেখানে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উল্টে হার হয়েছে। এরজন্য দায়ী শঙ্কর আঢ্য। মানুষ তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব এব্যাপারে ওয়াকিবহাল হওয়ায় এখন শুদ্ধিকরণ চলছে। আর সেই কারণেই ওই মানুষটির বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিতে চলেছে।' এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেন সন্দীপ দেবনাথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন