সমকালীন প্রতিবেদন : দীপাবলী মানেই মাটির প্রদীপ। আর এই দীপাবলীতে বীরভূমের আদিবাসী কন্যাদের তৈরি মাটির প্রদীপের প্রথম ক্রেতা হলেন বীরভূমের জেলাশাসক। তাঁদের তৈরি প্রদীপে আলোকিত হয়ে উঠবে জেলাশাসকের বাসভবন সহ জেলার অনেক পরিবারের বাসভবন।
বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর গুরুকুল নাট্য আশ্রমে এই জেলার লাভপুরের কালিকাপুরের আদিবাসী কন্যারা দীপাবলী উপলক্ষে গত বেশ কিছুদিন ধরে চলছে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ। তাঁদের তৈরি প্রদীপে পেশাদারি চাকচিক্য না থাকলেও তাতে রয়েছে অনেক ভালোবাসা, স্বপ্ন। কারণ, তাঁদের হাতের তৈরি এই প্রদীপ বাজারে বিক্রি হলে একদিকে যেমন তাঁরা কিছু অর্থের মুখ দেখবেন। খুশিতে উজ্জ্বল হযে উঠবে তাঁদের মুখ। অন্যদিকে, তাঁদের তৈরি এই প্রতি অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার কাটিয়ে আলোকিত হযে উঠবে চারিদিক।
সমাজের পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়ের শিক্ষিত কিশোরীদের হাতের তৈরি এই প্রদীপের ১৪ টির ডালা মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে। তাঁদেরকে উৎসাহিত করতে তাঁদের হাতে তৈরি এই মাটির প্রথম নগদ টাকায় কিনলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রানী রায়। জেলাশাসকের বাংলো চত্বরে আদিবাসী মেয়েরা সশরীরে হাজির হয়ে তাঁদের হাতে তৈরি প্রদীপ তুলে দিলেন জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রীর হাতে। সেই প্রদীপের আলোয় আলোকিত হযে উঠলো গোটা বাংলো চত্বর।
এব্যাপারে জেলাশাসক বিধান রায় জানালেন, 'জেলার আদিবাসী মেয়েদের হাতে তৈরি প্রদীপে সেজে উঠেছে বাড়ির অঙ্গন। এতে একদিকে যেমন স্বনির্ভর হবে ওই মেয়েরা, তেমনই হাসিতে উজ্জ্বল হবে তাঁদের মুখ।' জেলাশাসকের বাংলোতে এসে মাটির প্রদীপ বিক্রি করে খুশি রাধা টুডু, হাসিমনি কিস্কুরা। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর উদ্যোগে বীরভূম জেলায় দীপাবলীর সময় মাটির প্রদীপ বিক্রির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে মৃৎশিল্পীরা, আদিবাসী কন্যারা যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস সার্থক হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন