সমকালীন প্রতিবেদন : খালি বোনেরা কেন ভাইদেরকে ফোঁটা দেবে ? বোনেদের মঙ্গল কামনায় ভাইয়েরা কেন বোনেদেরকে ফোঁটা দেবে না ? শুক্লা দ্বিতীয়ায় ভাইরা বোনেদেরকে ফোঁটা দিয়ে ভগ্নীদ্বিতীয়া পালনের মাধ্যমে সমাজকে অন্য ধারার বার্তা দিল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সমন্বয় পরিবার। এদিন এমনই ১০০ বোনকে স্নেহের পরশে চন্দনে, বসনে, ভূষণে, রন্ধন উপকরণে বরণ করে নিলেন সংস্থার ভাইয়েরা। মেয়েরা যে সমাজে ব্রাত্য বা অবহেলিত নয়, তারই বার্তা দিল সংস্থা।
শনিবার সকালে বারাসত ১২ নম্বর রেল গেট সংলগ্ন সমন্বয় মাঠে এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বোনেদের ফোঁটা দিয়ে তাঁদের মঙ্গলকামনা করার পাশাপাশি তাঁদের ভাইফোঁটা পালনের পাথেয় তুলে দিলেন ভাইয়েরা। সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য, বাড়ির মেয়েরা বাড়ির পুরুষদের মঙ্গল কামনায় সারা বছর ব্রতী থাকেন। বোন ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার শুভলগ্নে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন, এটাই রীতি। সংসারে অভাব থাকলেও কার্পণ্য না করে, সামর্থ্যর মধ্যে বোনেরা উদযাপন করেন ভাইফোঁটার।
তাঁদের এই ত্যাগ, তিতিক্ষাকে সম্মান জানাতে এগিয়ে এল বারাসতের এই সংস্থার ভাইয়েরা। ভগিনীদ্বিতীয়া উৎসবের আয়োজন করে তারা চেয়েছিলেন, বোনরা যেন বাড়ি ফিরে তাঁদের তুলে দেওয়া উপকরণ দিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করতে পারেন। তাই এদিন বারাসত সমন্বয়ে একশো শুভদ্রা ফোঁটা নিলেন। ভাইয়েরা তাঁদের হাতে শাড়ি, মাছ, মাংস সহ রন্ধন উপকরণ তুলে দিলেন।
কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তাঁর বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তাঁর কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন