সমকালীন প্রতিবেদন : বিহার রাজ্যের ছায়া এই রাজ্যে। মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খোলা মঞ্চে প্রকাশ্যে অশ্লীল নাচ পরিবেশন করা হল। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকায় দুটি পৃথক জায়গায় একই ধরনের চটুল নাচ চলাকালীন হানা দিয়ে দুই কমিটির সদস্য সহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি, নাচে অংশ নেওয়া ৫ নাবালিকাকে উদ্ধার করল গোপালনগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালনগর থানার বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকখোলা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে চটুল নাচ চলছিল, পাশাপাশি দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৭ নম্বর কাঠালতলা এলাকাতেও চটুল নাচ চলছিল৷ খবর পেয়ে দুটি জায়গায় হানা দিয়ে দুই মেলা কমিটির কর্মকর্তা সহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার পুলিশ। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা রয়েছে। যাদের মধ্যে নাচে অংশ নেওয়া যুবতী এবং ওই নাচের দলের কর্মকর্তা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া পাঁচ নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ। তাদেরকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায় হয়। বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, শুক্রবার পকসো আদালত বন্ধ থাকায় শনিবার এই মামলার শুনানী হবে। জলসার নামে ওই দুই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে যে ধরনের অশ্লীল নাচ পরিবেশন করা হয়েছে, তা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই অভিযুক্তদের যাতে কঠোর শাস্তি হয়, আদালতে তার আবেদন জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বিহার রাজ্যে জলসার নামে প্রকাশ্যে অশ্লীল নাচ, গান পরিবেশনের রেওয়াজ আছে। তবে এদিন গোপালনগর থানা এলাকায় যেধরনের নাচ পরিবেশন করা হয়েছে, তা এর আগে এই অঞ্চলে কোনও হয় নি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সভ্য সমাজ। পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা অনলাইনে কলকাতার এই নাচের দলের সঙ্গে মোটা টাকার বিনিময়ে যোগাযোগ করে। এরপর তারা এই দুই অনুষ্ঠানে এই ধরনের নাচ পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সেই নাচ সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন