সমকালীন প্রতিবেদন : নদীয়ার হাঁসখালিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত বাগদা এলাকার মানুষদের পরিবারের পাশে থেকে সমস্তরকমের সহযোগিতা করলেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একইভাবে সরকারি কর্মী হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করলেন পুলিশ আধিকারিকেরাও। বিজেপির প্রতিনিধিরাও ওই গ্রামে পৌঁছে সমবেদনা জানান। এদিনের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা পারমাদন সহ আশপাশ গ্রাম। কথা বলার মতো ভাষা হারিয়েছেন এলাকার মানুষ।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শনিবার সেখানেই মারা যান বাগদার পারমাদন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শিবানী মুহুরী (৮২)। এদিন তাঁর মৃতদেহ সৎকার করার জন্য প্রথমে বাগদার বাড়ি এবং পরে রাত ১২ টা নাগাদ আত্মীয় পরিজন মিলিয়ে ২৬ জন একটি ট্রাকে করে নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে নদীয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়ির এলাকায় দুরন্ত গতির এই ট্রাক রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে সজোরে ধাক্কা মারলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্রাকের মাত্র দুএকজন সুস্থ থাকায় তাঁরা কোনওরকমে নিজেদেরকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে বাকিদের উদ্ধারের কাজে নেমে পরেন। খবর পেয়ে হাঁসখালি থানার পুলিশ এবং অন।আন্য আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের কৃষ্ণনগরের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই একে একে চিকিৎসকেরা ১৭ জনকেমৃত বলে ঘোষনা করেন। তাঁদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত লেগে অন্ত:ক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে মৃতদের যে তালিকা পাওয়া গেছে, তারা হলেন– অমর বিশ্বাস (৫১), গোপাল সরকার (৬৪), অমলেন্দু বিশ্বাস (৪৪), হাজারিলাল বিশ্বাস (৮২), বৃন্দাবন মুহুরী (৫৯), শ্যামল বিশ্বাস (৫১), বিজয় মন্ডল (৬৫), সুকুমার বিশ্বাস (৫২), গাড়ির চালক প্রসেনজিৎ দাস (২১), ভাষ্কর মন্ডল (২১), জয়ন্তী মুহুরী (৫৫), শ্রাবণী মুহুরী (২১), অনিতা মুহুরী (২৪), সুচিত্রা বিশ্বাস (৪৫), অশোকা রায় (৩৫), বিভা সরকার (৬০) এবং অনন্যা মুহুরী (৫)। মৃতদের মধ্যে ১০ জন মৃত বৃদ্ধার আত্মীয়, পরিজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন