দেবাশীষ গোস্বামী : ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করলেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (NIOT) যারা সমুদ্র নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করে, তাদের এতদিন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল না। এই সংস্থাটিকে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৩ সালে সমুদ্রে গবেষণার জন্য তৈরি করে।
সংস্থার সদর দপ্তর চেন্নাই। এবার তারা 'মিশন সমুদ্রযান' নামক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং চেন্নাইতে গত সপ্তাহে উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পে মনুষ্য চালিত একটি সমুদ্রযান সমুদ্রের ৬ কিলোমিটার গভীরে খনিজসম্পদ অন্বেষণ ও নানা রকমের গবেষণা করবে। এই সমুদ্রযানে ৩ জন মানুষ থাকবে।
NIOT আশা করছে, মিশন সমুদ্রযানের ফলে আগামী দুএক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করা সম্ভব হবে। বিপুল পরিমাণ পলিমেটালিক নডিউল অন্বেষণ করে জলের উপরে আনা সম্ভব হবে। ভারত ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স এবং চীনের কাছে এই ধরনের যান আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সমুদ্রযানের মাধ্যমে সমুদ্রের বিপুল খনিজ সম্পদ ভান্ডার ব্যবহার করে ব্লু ইকোনমির উপর জোর দিতে চাইছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন