সমকালীন প্রতিবেদন : এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই দল বৃহন্নলনার মধ্যে ব্যাপক গোলমাল বাধলো। অভিযোগ, নদীয়ার রানাঘাট থেকে একদল বৃহন্নলা বাইরে থেকে সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে অন্য বৃহন্নলাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর, মারধর, গয়না, মোবাইল ছিনতাই করে নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ৩ জন বৃহন্নলা অসুস্থ হয়ে পরেন। তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আক্রান্ত বৃহন্নলারা জানান, বনগাঁয় বৃহন্নলাদের মূল বাসস্থান রয়েছে। এই বাড়ির সঙ্গে যুক্তরা বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের কর্মকান্ড চালান। এখানেই একসময় আশ্রয় নেয় ঝুমা, সাধনা, পিঙ্কি নামে ৩ বৃহন্নলা। অভিযোগ, তারা পরে নদীয়ার বৃহন্নলাদের সঙ্গে জোট বেধে বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা দখলের চেষ্টা করে। আর তাতে বনগাঁ মহকুমার বৃহন্নলারা বাধা দিতে গিয়েই বিবাদের শুরু।
সোমবার দুপুরে কাজ সেরে বনগাঁর একদল বৃহন্নলা গোপালনগরের সাইলিপাড়ায় এক বৃহন্নলার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। অভিযোগ, এইসময় ঝুমা, সাধনা, পিঙ্কিরা নদীয়ার রানাঘাটের বেশকিছু বৃহন্নলাকে সঙ্গে নিয়ে কাকিনাড়া এলাকার একদল শসস্ত্র দুষ্কৃতীকে ভাড়া করে তাদের উপর হামলা চালায়। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়ির আসবাব ভাঙচুরের পাশাপাশি তাদের রান্না করা খাবার নষ্ট করে দিয়ে গায়ের থেকে সোনার গয়না, মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেওয়া হয়।
এই হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। তাঁরাই এরপর আক্রান্ত বৃহন্নলাদের রক্ষা করেন। অসুস্থ ৩ বৃহন্নলার মধ্যে ২ জনকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় হাজির হয় গোপালনগর থানার পুলিশ। আক্রান্ত বৃহন্নলারা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই হামলার ঘটনার উপযুক্ত বিচারের পাশাপাশি, আগামীদিনে নদীয়ার বৃহন্নলারা যাতে উত্তর ২৪ পরগনায় এসে দখল নেওয়ার চেষ্টা না করে, তার দাবি জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন