সমকালীন প্রতিবেদন : বেধড়ক মারে মৃত সিপিএম কর্মীর বাড়িতে গেল রাজ্যস্তরের এক বাম প্রতিনিধিদল। তাঁরা মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি মৃতার স্ত্রীর হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন হিসেবে বর্ণনা করে বাম প্রতিনিধি দল এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দলের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা করেন। এদিনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী, আভাস রায়চৌধুরী, শ্যামলী প্রধান, গৌতম ঘোষ, রামচন্দ্র ডোম প্রমুখ বাম নেতানেত্রীরা।
৭ নভেম্বর রাজ্য জুড়ে নভেম্বর দিবস পালন করেন বামপন্থীরা। বীরভূমের নানুর থানার বালিগুনি গ্রামেও স্থানীয় সিপিএম কর্মী বাদল শেখের নেতৃত্বে সিপিএমের দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দলীয় পতাকা উত্তোলনের 'অপরাধে' সিপিএম কর্মী বাদল শেখকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জেলা সিপিএমের অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশ গুরুতর জখম সিপিএম কর্মী বাদল শেখকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বাদল শেখের।
এই ঘটনার পর শুক্রবার মৃত দলীয় কর্মী বাদল শেখের বাড়িতে যান বাম প্রতিনিধিরা। তাঁরা নিহত বাদল শেখের স্ত্রী জারিনা বিবির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সমবেদনা জানান। পাশাপাশি, তাঁর হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। পরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, 'অত্যাচারের একটা সীমা থাকা দরকার। মস্তানরা কোনওদিন শেষ কথা বলে না। যতক্ষণ পুলিশ আছে, ততক্ষণ তৃণমূল আছে। পুলিশ একমাস সরে গেলে তৃণমূল গর্তে লুকোবে।' বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা রবিন দেব বলেন, 'তৃণমূল সরকারের আমলে মানুষ স্বাধীনভাবে কথাবার্তা বলার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনও রাজনৈতিক কর্মীকে দলীয় কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন