সমকালীন প্রতিবেদন : বীরভূমের ডেউচা পাচামিতে জমি অধিগ্রহণ করা হবে, না কি কেনা হবে, মুখ্যমন্ত্রী তা স্পষ্ট করুন। এমনই দাবি জানালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, ডেউচা পাচামি শিল্পাঞ্চলে আদিবাসী স্বার্থ বিঘ্নিত করে কয়লা খনি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন। এব্যাপারে তাঁরা তাঁদের দাবির সমর্থনে সরকারি দপ্তরে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
সরকারি আইন মেনে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বীরভূমের পাচামিতে জমি অধিগ্রহণ হবে, না কি কেনা হবে, মুখ্যমন্ত্রীকে তা স্পষ্ট করার দাবি জানান সুজন চক্রবর্তী। বীরভূমের নানুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। ডেউচা পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকার আদিবাসীরা দ্বিধাবিভক্ত। শিল্প সকলে চান।
সেই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সুজনবাবুর প্রশ্ন, '১০ বছর ধরে দেওচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের কথা শুনছি। কাগজপত্র বের হচ্ছে না কেন ? প্রকল্প করার ক্ষেত্রে আদিবাসীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হচ্ছে না কেন ?' পাশাপাশি, প্রস্তাবিত কয়লা খনি হলে পরিবেশের প্রভাব কতখানি পড়বে, তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে শিল্প চাই। কিন্তু কোনও মানুষের জীবনের বিনিময়ে নয়।'
এদিকে, আদিবাসীদের বঞ্চিত করে কয়লা খনি করা যাবে না বলে দাবি তুলেছে আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা বীরভূম জেলা কমিটি। কমিটির অন্যতম সদস্য ঘাশিরাম হেমব্রম এব্যাপারে বলেন, 'মোহাম্মদ বাজার ব্লকের ডেউচা পাচামি অঞ্চলে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অথচ আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে এব্যাপারে কোনওরকম আলোচনা করছে না।'
আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে প্রয়োজনে তাঁরা কয়লা খনি হতে দেবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন। তবে তাঁদের যুক্তি, সরকার যদি আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সঠিক পুনর্বাসন প্যাকেজ দেয় এবং তাতে যদি আদিবাসী মানুষেরা খুশি হন, তাহলেই তাঁরা কয়লা শিল্পে কোনও বাধা দেবেন না। তবে তাঁরা চান, জল–জঙ্গলের অধিকারের পাশাপাশি আদিবাসীদের স্বার্থ বিঘ্নিত যেন না হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন