প্রতারিত ব্যবসায়ী
কম মূল্যে সোনা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন জয়দেব সাহা নামে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার এক ব্যবসায়ী। হাবড়ার পোষ্ট অফিস মোড়ে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। হাবড়ার বাণীপুর এলাকার বাসিন্দা বাপি নন্দী নামে তাঁর এক পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি তাঁকে এসে বলেন যে, এক ব্যক্তি বিপদে পরে কম দামে সোনা বিক্রি করতে চায়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাপির পরিচিত রবি গাঙ্গুলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ৫০০ গ্রাম সোনা কেনেন। পরে সন্দেহ হওয়ায় জয়দেববাবু এলাকার একটি সোনার দোকানে যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারেন, এগুলি আদৌ সোনা নয়, ব্রোঞ্জের উপর সোনার রং করা। জয়দেববাবু তখন বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তিনি হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাণীপুর থেকে বাপি নন্দী এবং বাগুইআটি থেকে রবি গাঙ্গুলীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রদীপ–মোমবাতি
চীনা আলোয় ভরে গেছে বাজার। ফলে অনেকটাই ব্রাত্য মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ। আর তাই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। আলোর উৎসব দীপাবলীর প্রাক্কালে পুরুলিয়ার ঝালদার মোমবাতি ও প্রদীপ শিল্পীরা চীনা আলোর পরিবর্তে মোমবাতি আর মাটির প্রদীপ কেনার আবেদন জানালেন। দীপাবলীর আগে থেকেই মাটির প্রদীপ, মোমবাতি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন ঝালদার শিল্পীরা। তাঁরা জানালেন, কাঁচা মালের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই হারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু বাজারে ছেয়ে যাওয়া তুলনায় কম দামের চীনা আলোর দিকে ঝুঁকছেন একশ্রেণীর মানুষ। ফলে আগের তুলনায় চাহিদা কমেছে মোমবাতি ও মাটির প্রদীপের। নিয়ম রক্ষার্থে কিছু মানুষ প্রদীপ, মোমবাতি কেনেন। আম জনতার উদ্দেশ্যে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আবেদন, চীনা আলো ছেড়ে দেশীয় মাটির প্রদীপ, মোমবাতি আরও বেশি করে কিনুন। আর তাহলেই বেঁছে থাকবে এই শিল্প।
মাকালীর গয়না
মাকালীর কাছে যা চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন তিনি। তাই নিজের কালী মাকে এবারে আরও বেশি করে সোনার গয়না পড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কালীমা এবারে সেজে উঠছে ৫৪০ ভরি সোনার গয়নায়। গতবারের তুলনায় প্রায় ১৯০ ভরি বেশি। ফি বছর বোলপুরের তৃণমূল পাটি অফিসে কালীপুজোর আয়োজন করেন অনুব্রত। পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। পুজো শুরুর আগে প্রতি বছরই মাকে নিজের হাতে সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুরুর বছর মায়ের গায়ে ছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়না। পরের বছর তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে এবছর সেই গয়নার পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৪০ ভরিতে। মঙ্গলবার গয়না পরানোর পর তিনি জানালেন, 'মায়ের কাছে যা চায়, তাই পাই। তবে গত দু'বছর ধরে পারিবারিক সদস্যের মৃত্যুর কারণে মাকালী কে নিজের হাতে গয়না পরাতে পারি নি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন