সৌদীপ ভট্টাচার্য : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক বসছে উত্তর ২৪ পরগনায়। বুধবার মধ্যমগ্রাম পুরসভা হলে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে হাতে গোনা ১৫০-১৬০ জন উপস্থিত থাকবেন বলে সুত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক চারটি মহুকুমায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন মহকুমা শাসক, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত এবং পুরসভার প্রশাসকেরা। থাকবেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা জানান, এই বৈঠক থেকে ১০-১২ টি নতুন প্রকল্পের সূচনা হবে। এর মধ্যে কেএমডিএর উদ্যোগে ১৫৬ কোটি টাকার জল প্রকল্প আছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ কতটা সম্পন্ন হল তারই পর্যালোচনা হবে এই বৈঠকে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে জেলার প্রায় ১৭ লক্ষ মহিলা আওতাধীন হয়েছেন। এদিনই একই মঞ্চ থেকে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে অর্থাৎ অফ লাইনে স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন শুরুর সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্তিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপন বিশ্বাস।
এছাড়াও, ইয়াস ঝড়ের পরে সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলে প্রচুর ম্যানগ্রোভের চারা বসানো হয়েছে। বারাসত স্টেডিয়াম, বারাসত মেডিকেল কলেজের কাজ নিয়েও আলোচনা হবার সম্ভাবনা আছে বলে জানান জেলা শাসক। জেলার তিন পুলিশ সুপার এবং দুই পুলিশ কমিশনারদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কোনও আলোচনা হবে কিনা, তা এখনো সঠিকভাবে বলতে চান নি জেলা শাসক।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, বারাসত জেলা সদর হলেও ২০১৬ এর পর আর কোনও প্রশাসনিক বৈঠক বারাসতে অনুষ্ঠিত হয় নি। অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভা হলেও মুখ্যমন্ত্রী এখানে এই নিয়ে মোট ৩ বার প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে বারাসত গুরুত্ব হারাচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে প্রশাসনের অন্দরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন