সৌদীপ ভট্টাচার্য : অর্ডার দেওয়া খাবার আসতে দেরি হওয়ায় এক বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয়কে মারধর এবং তাঁর ফোন ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের পানশিলা আনন্দপল্লীতে। এই ঘটনার পরে এদিন রাতেই ওই গ্রাহকের বিরুদ্ধে ঘোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বেসরকারি সংস্থার ওই ডেলিভারি বয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘোলা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উজ্জ্বল দাস নামে ওই বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয় জানান, এদিন সন্ধেয় সোদপুর কালীতলামাঠ এলাকা থেকে তাঁর কাছে একটি অর্ডার আসে। সেইমতো তিনি ওই লোকেশনে খাবার নিয়ে পৌঁছোন। সাইকেলে যেতে তাঁর কিছুটা দেরি হয়। উজ্জ্বলের অভিযোগ, সামান্য দেরি হওয়ায় ফোনেই এক মহিলা গ্রাহক প্রথমে তাঁকে গালিগালাজ করেন। তা সত্ত্বেও খাবার নিয়ে নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছানোর পর ৫০০ মিটার দূরে অন্য লোকেশনে পানশিলা আনন্দপল্লীতে তাঁকে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে প্রথমে উজ্বল যেতে অস্বীকার করলেও পরে তিনি ওই লোকেশনে খাবার দিতে যান।
খাবারটি নেওয়ার পর ফের ওই মহিলা তাকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তার গালে থাপ্পড় মারার পাশাপাশি হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সেটি ছুড়ে ফেলে ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন উজ্জ্বল। যে ফোনটি উজ্জ্বল কিস্তিতে কিনেছিল। এমনকি তাঁর সাইকেলটিরও ক্ষতি করেন ওই মহিলা গ্রাহক। এরপরই উজ্জ্বল তাঁর সহকর্মীদের বিষয়টি জানান। রাতেই সোদপুর জোনের ওই বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয়েরা একত্রিত হয়ে ঘোলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উজ্জ্বলের আরও অভিযোগ, যে অ্যাকাউন্ট থেকে খাবার অর্ডার করা হয়েছিল, সেটি ভুয়ো ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন