সমকালীন প্রতিবেদন : বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছার বামা কালীর পুজো ৫০০ বছরের পুরনো। তন্ত্র সাধক মুনিরাম গোস্বামী এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা, এমনই জনশ্রুতি। এই পুজোর ১৪ ফুটের দেবী মূর্তি তৈরি হয় অমাবস্যায়। আর পুজো হয় প্রতিপদে। গ্রামেরই মহাশ্মশানে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে মাতৃ পুজোয় নিমগ্ন হন।
কথিত আছে, কালীপুজোর আগের দিন গ্রামের ভক্তেরা ব্রত পালনের সঙ্গে নিরামিষ পংক্তি ভোজে শামিল হন। মায়ের নির্মাণ মন্দিরে গিয়ে যিনি মায়ের পায়ে আলতা পরান তিনি প্রথম অন্নগ্রহণ করেন। তারপর যারা মায়ের ব্রত করবেন, তারা প্রসাদ গ্রহণ করেন। এখানে অমাবস্যায় কালীপুজোর দিন গভীর রাতে নির্মাণ মন্দির থেকে মাকে আনা হয় বর্তমান মূল মন্দিরে। এই মন্দিরের সংস্কার করেছিলেন বিশ্বনাথ ব্যানার্জি।
সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের ইন্দ্রগাছার বামা কালীর প্রতিমায় অমাবস্যাতে রঙের প্রলেপ দেওয়া হলেও পুজো হয় প্রতিপদে এবং এই রীতি হয়ে আসছে সাধক মুনিরামের আমল থেকেই। ভোররাত পর্যন্ত সেই কাজ চলে। এরপর নির্মাণ মন্দির থেকে মূল মন্দিরে আনার সময় সরকার বাড়ির বউমা শুদ্ধাচারে মারুলি দিয়ে মাকে মূল মন্দিরে আনার জন্য প্রস্তুতি নেন। তারপর পুজক তিনবার 'জয় মা বামা, তোকে মুনিরামের দোহাই' বলে অনুমতি নেন।
তারপর দেবী মূর্তিকে শালকাঠের উপর তুলে মুনিরামের গান গাইতে গাইতে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ জন যুবক মূল মন্দিরে নিয়ে আসেন। এই সময় মূল মন্দিরের আলো একবার নেভানো হয় এবং গ্রামের মহিলারা মাকে বরণ করেন। এরপর মায়ের ঘট আনা হয়, তান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পুজো করা হয়। এখানে ছাগল, মহিষ বলি হয়। তারপর পুজো শেষে গ্রামের ভক্তেরা প্রসাদ গ্রহণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন