শম্পা গুপ্ত : বৃদ্ধার পেটে অস্ত্রোপচার করে বের করা হলো ১,২৩১ টি পাথর। পিত্তথলিতে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের ফলে প্রাণে বাঁচলেন ওই বৃদ্ধা। রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে ওই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় কোনও অর্থ খরচ করতে হয় নি তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর পরিবার।
জানা গেছে, পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা, বছর বাষট্টির এক বৃদ্ধা প্রায় মাস ছয়েক ধরে গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভুগছিলেন। দিন দিন তাঁর সমস্যা বেড়ে যাচ্ছিল। খাওয়া- দাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং হজমের ওষুধে কাজ না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রোসোনোগ্রাফি করে দেখা যায়, পিত্তথলিতে প্রচুর পাথর জমেছে। অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করে ওই পাথর বের করতে হবে বলে জানান চিকিৎসক। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার করতে যে পরিমান খরচ হবে, তা বহন করা সম্ভব ছিল না ওই বৃদ্ধার পরিবারের।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আধুনিক পদ্ধতিতে অস্ত্রপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর ওই বৃদ্ধার পিত্তথলি থেকে ছোট–বড় মিলিয়ে মোট ১,২৩১ গুলি পাথর বেরিয়েছে বলে জানান শল্য চিকিৎসক পবন মণ্ডল। তিনি জানান, অস্ত্রপচারের আগে এতোগুলি পাথর বের হবে, তা বোঝা যায় নি। পাথরগুলির গড় মাপ ২-৯ মিলিমিটার। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার পিত্তথলি থেকে ১,১১৫ গুলি পাথর বেরিয়েছিল। এদিনের এই অস্ত্রোপচারে আরও বেশি পাথর মিলল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন