সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁয় সরকারি অনুমোদনহীন শ্রমিক ইউনিয়নগুলি আইএনটিটিইউসির নামে পরিচালিত হচ্ছে। এমন অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের রেজিস্ট্রেশন, অনুমোদনহীন সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও একপ্রকার হুমকি দেন তিনি।
মঙ্গলবার আইএনটিটিইউসির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো বনগাঁর ডি এন– ৪৪ বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরাণী সরকার, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষ, যুব সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ, মহিলা সভানেত্রী ইলা বাকচি, পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ, জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামল রায়, শহর সভাপতি দিলীপ দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিন ফিতে কেটে সংগঠনের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন ঋতব্রত। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দরিদ্র মানুষদের বস্ত্রদান করা হয়। এদিনের সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রচুর অসংগঠিত শ্রমিক অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যশোর রোডে যানজট তৈরি হয়। যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। বড় গাড়িগুলিকে কয়েক ঘন্টার জন্য অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ জেলা কার্যালয় হিসেবে আইএনটিটিইউসির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ের উদ্বোধন হলো বনগাঁয়। এর আগে রানাঘাট, আরামবাগ এবং ঝাড়গ্রামে নিজস্ব জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে। সংগঠনের কাজ চালাতে গেলে জেলা কার্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। এই কার্যালয় থেকেই সংগঠনের সমস্ত রকম কাজ পরিচালনা করতে সুবিধা হবে সংগঠনের কর্মকর্তাদের।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের ৩৪ টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠনের কাজ শেষ করা হবে। প্রতি মাসে একবার করে জেলা কমিটি বৈঠকের আয়োজন করবে। প্রয়োজনে আমি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবো।'
ঋতব্রত এদিন বলেন, 'বনগাঁয় কোন সংগঠিত শিল্প বা শ্রমিক নেই। শুধু অসংগঠিত শ্রমিক রয়েছেন। তাই এই সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত যত অসংগঠিত শ্রমিক রয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে সংগঠনের আওতাভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছাতে হবে।'
অভিযোগের সুরে এদিন রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর কাছে অভিযোগ গেছে যে, বনগাঁ মোটর শ্রমিক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং পেট্রাপোল মুটিয়া মজদুর এন্ড কর্মচারী ইউনিয়ন নামে দুটি সংগঠন আইএনটিটিইউসি নাম করে নানারকম অনৈতিক কাজ করছে।
ঋতব্রত বলেন, ওই দুটি সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত নয়। পাশাপাশি তাদের কোনও সরকারি রেজিস্ট্রেশনও নেই। তাই ওই দুটি সংগঠন যদি আইএনটিটিইউসি নাম ব্যবহার করে এবং কোনও অনৈতিক কাজ করে, তাহলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানিয়েছেন ঋতব্রত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন