সৌদীপ ভট্টাচার্য : একদিকে যখন কালীপুজোর প্রস্তুতি বারাসতে, ঠিক তখনই মানুষ অকুতোভয়ে রয়েছেন, ফের যেন করোনা বিরাট আকার নিয়ে না ফিরে আসে। পুলিশের হুঁশিয়ারি হুঁশ ফেরাচ্ছে না মানুষের। কালীপুজোর সময় ভিড়ে করোনা আবার যেন ভয়াবহ আকার না নেয়, সেইজন্য আগাম তৎপর বারাসতের পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার মাস্ক না পরলেই গ্রেপ্তারীর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। যদিও সাধারণ মানুষের হুঁশ তাতে ফেরে নি।
কালীপুজোকে ঘিরে এখন উৎসবের আনন্দে মাততে চাইছেন মানুষ। ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের বিষয় খতিয়ে দেখছে বারাসত জেলা পুলিশ। পুজো আয়োজন করতে কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলতেই হবে, প্রশাসন সেকথা বারবার বলে চলেছে। শুরু হয়েছে কালী পুজো কমিটিগুলির প্রস্তুতির তদারকি। পাশাপাশি, নরমে গরমে পুলিশ এখন থেকেই মানুষকে সচেতন করতে ব্যস্ত। কার্যত প্রাক পুজো সতর্কতা হিসেবেই বারাসতের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাস্তায় নেমে মাস্কবিহীন মানুষকে মাস্ক পরাচ্ছেন।
পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় মুখেও বলছেন, মাস্ক ছাড়া ঘুরলে গ্রেপ্তার করা হবে। এব্যাপারে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। তবুও মাস্ক পরতে একাংশের মানুষের এখনও অনীহা। মাস্ক ছাড়া মানুষ পুলিশি টহলদারীর অদূরে হাঁটছেন, চলছেন ফিরছেন, বাসে উঠছেন, চা-খৈনিতে মজে থাকছেন। পুলিশ মাস্ক পরালে পরছেন। স্বতপ্রনোদিত হয়ে মাস্ক পরতে রাজী নন এইধরনের মানুষেরা। কালীপুজো আসছে। পুজো হবে হইচই করে আর ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট হবে সুশৃঙ্খলভাবে-করোনার ভয়াবহতা রুখতে দুটি ভিন্নধর্মী সমীকরণকে একটি সঠিক দিশা দেওয়া বারাসত পুলিশ প্রশাসনের কাছে এখন বিরাট চ্যালেঞ্জ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন