সমকালীন প্রতিবেদন : হিংসার প্রতিবাদ হিংসা দিয়ে হয় না। শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। এমনই মনে করে ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ। আর তাই, চৈতন্য মহাপ্রভু জাতপাতের বিরুদ্ধে যেভাবে অহিংস আন্দোলন (NON VIOLENT MOVEMENT) শিখিয়েছিলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষদের উপর যে অন্যায়–অত্যাচার নেমে এসেছে, তার প্রেক্ষিতে চৈতন্য মহাপ্রভুর দেখানো পথেই আন্দোলন চালাচ্ছে ইসকন (INTERNATIONAL SOCIETY OF KRISHNA CONSCIOUSNESS)। এই ভাবধারায় গোটা পৃথিবী জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সংগঠিত করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।
দুর্গাপুজো (DURGAPUJA) থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ইতস্তত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু মানুষদের, তাঁদের ধর্মীয় স্থানে আঘাত নেমে আসছে। আর তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন দেশের সমাজ সচেতন মানুষেরা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ধর্মীয় সংগঠন ইসকনও। পৃথিবীর ১৫০ টি দেশে ছড়িয়ে থাকা ইসকনের সমস্ত শাখা থেকে শনিবার বিকেলে একযোগে কীর্তন প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। বনগাঁর হরিদাসপুর (HARIDASPUR) শাখাতেও এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলন হয়।
এব্যাপারে বনগাঁ শাখার অধ্যক্ষ সুন্দর গোবিন্দ দাস জানান, 'কোনও ধর্মই অশান্তি বা অশ্রদ্ধা করতে শেখায় না। অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেই শান্তি আসবে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ধর্মীয় সন্ত্রাসের ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা গোটা পৃথিবীর সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে, আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের বদলে নিজেদের ধর্মস্থানের ভেতরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই বার্তা দিতে চাই যে, গোটা পৃথিবী জুড়েই সমস্ত ধর্মের মানুষই যাতে নিজেদের ধর্ম নিজেদের মতো করে পালন করতে পারেন, সেই পরিবেশ বজায় থাকুক।' এদিন ইসকনের হরিদাসপুর মঠে ভক্তরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নীরব প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন