শম্পা গুপ্ত : বুধবার যখন ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হল, তখন পুরুলিয়া (PURULIA) জেলায় আরাধনার ছবিটা ছিল একটু অন্যরকম। লক্ষ্মী পুজোর দিন রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার (LAXMI BHANDER) প্রকল্পের আওতায় আসা এই জেলার মহিলাদের বিশেষভাবে সম্মানিত করা হল প্রতিটি ব্লকে। মূল অনুষ্ঠানটি হয় বাঘমুণ্ডির অযোধ্যা পাহাড়ের রাঙা হাইস্কুলের মাঠে।
অযোধ্যা পাহাড় এলাকায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৯৭২ জন উপভোক্তার মধ্যে এদিন ৩০ জন উপভোক্তাদের হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থ, ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী (MINISTER) সন্ধ্যা রানি টুডু, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, মহকুমা শাসক রীতম ঝা প্রমুখ।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বিষয়ে এদিন জেলাশাসক সাঁওতালি ভাষায় বক্তব্য রাখেন। এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৩০ জন লক্ষ্মীর ভান্ডার উপভোক্তাদের হাতে প্রাপ্ত অর্থ, পুস্পস্তবক এবং মিষ্টি মুখ করিয়ে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। অযোধ্যা পাহাড়বাসীকে যাতে ১২ কিলোমিটার দূরে বাঘমুন্ডি থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না তুলতে আসতে হয়, তার জন্য পরে মাস থেকে অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তুলতে পারবেন বলেও এদিন ঘোষণা করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘমুন্ডি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবরাজ ঘোষ, জেলা পরিষদ সদস্যা নমিতা সিং মুড়া সহ অন্যান্য ব্লক ও জেলা আধিকারিকগণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন