সৌদীপ ভট্টাচার্য : বারাসত ও মধ্যমগ্রামে কালীপুজোকে ঘিরে শুরু হল পুলিশি তৎপরতা। এই বিষয় নিয়ে বুধবার থেকেই জেলা পুলিশের মধ্যে সাজোসাজো রব। বারাসত জেলা পুলিশের সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এস ডি পি ও এবং থানার আইসি একযোগে বড় পুজোগুলির ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে হাজির হন।
পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি জানান, করোনা বিধি যথাযতভাবে ক্লাবগুলি মানছে কি না, তা দেখতেই তাঁরা ক্লাবে ক্লাবে যাচ্ছেন। পুজোয় লাইন পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা পুলিশ নিচ্ছে। পুলিশের ব্যবস্থাপনা দেখে অনুমান করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতিতেও বারাসত, মধ্যমগ্রামের কালীপুজোয় ভিড়ের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আর তাই সেই ভীড় নিয়ন্ত্রনে রাখতে বদ্ধ পরিকর প্রশাসন। কালীপুজোর সঙ্গে বারাসতের নাম বহুদিন ধরেই উচ্চারিত হয়ে আসছে। বারাসতের পাশাপাশি মধ্যমগ্রাম অঞ্চলেও কালীপুজো হয়ে আসছে বড় মাপে। এই দুই অঞ্চল জুড়ে জাঁকজমক পূর্ণ এই উৎসবে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে।
কিন্তু করোনার প্রকোপে গতবছর পুজো সেভাবে উৎসবের আকার পায় নি। করোনা নির্মূল না হলেও এবছর কালীপুজোর প্রস্তুতির চিত্র গতবারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার কোমর বেঁধে না নামলেও বারাসতের ক্লাবগুলি যে দায়সারাভাবে পুজোর আয়োজন করছে না, তা বলাই বাহুল্য। পুজোর সাতদিন আগেই সাজতে শুরু করেছে শহর। অথচ করোনার প্রকোপ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। তাই ভীড় নিয়ন্ত্রণ আর করোনা বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করাই বড় চ্যালেঞ্জ বারাসত পুলিশ জেলা প্রশাসনের কাছে। সেই কারণে এদিন পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে প্রতিটি বড় পুজোর এলাকা ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর।
বারাসত কে এন সি রেজিমেন্ট পুজো কমিটির অন্যতম সংগঠক অশনি মুখোপাধ্যায়ের সুস্পষ্ট বার্তা, ২০১৯ সালের মতো বড় না হলেও ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের পুজোর বহর বাড়ছে। নবপল্লী ব্যায়াম সমিতির অন্যতম সংগঠক টিঙ্কু পোদ্দার জানিয়েছেন, করোনা বিধি মেনেই তাঁরা পুজো করছেন। মাস্ক পরে মণ্ডপের কাছে আসতে হবে দর্শণার্থীদের, মাস্ক না পরে আসলে পুজো কমিটির তরফে মাস্ক দেওয়া হবে। ভীড় যাতে না হয় সেইজন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে না যাতায়াতের পথ। দশ মিনিট পর পর স্যানিটাইজেশন চলবে।
আমরা সবাই পুজো কমিটির অরুন ভৌমিক আবার জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা করে তাঁরা পুজো করবেন না। করোনা বিধি মেনে বড় মাপের পুজো করে ভীড় নিয়ন্ত্রণ– কথা দুটি স্ববিরোধী। অন্যদিকে, বারাসত পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুনীল মুখার্জী জানিয়েছেন, যে চারদিন উৎসব চলবে (৪ থেকে ৭ নভেম্বর), সেই কদিন সর্বত্র করোনা বিধির উপর নজর রাখা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন