Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা চালুর উদ্যোগ

 

Initiatives-to-start-schools-in-the-neighborhoods

সমকালীন প্রতিবেদন : করোনার অতিমারি‌র কারণে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্তরের ছাত্র‌ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মহিলা স্বনির্ভর দলগুলিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রথম ও লিভার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষার পুনর্গঠনে কাজে নামা হচ্ছে।


করোনা পরিস্থিতির কারণে গত প্রায় দু'বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলি। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও সব জায়গায় তা সমান ভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পড়ুয়াদের জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরে তো অনলাইন ক্লাসও হচ্ছে না।


এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবা সংস্থা লিভার ফাউন্ডেশন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে প্রথম নামে আরও একটি সংস্থা। তাদের যৌথ উদ্যোগে বীরভূম জেলার সিউড়ী ১ নম্বর ব্লকের নগরী গ্রাম পঞ্চায়েত, খটঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভূর্কুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের নিয়ে আয়োজন করা হলো বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের। 


প্রশিক্ষিত সদস্যারা এরপর শিশুদের শিক্ষার পাঠ দেবেন। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, স্বনির্ভর দলের মহিলারা শিক্ষা ক্ষেত্রে পুনর্গঠনে বেশি ভালো ভূমিকা গ্রহন করতে পারেন। সেই সম্ভাবনার দিকগুলি খতিয়ে দেখেই মহিলা স্বনির্ভর দলগুলিকে দিয়েই পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।


পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পড়ুযাদের বইমুখী করার জন্য স্বনির্ভর দলের মহিলারা তাদেরকে পড়াবেন। এর ফলে স্কুলে যেতে না পারা প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীরা যেমন ফের পড়াশোনায় অভ্যস্ত হবে, তেমনি তাদের অভিভাবকরাও এব্যাপারে আগ্রহী হয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারবেন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।  


উদ্যোক্তা সংস্থার পক্ষে চিকিৎসক, সমাজসেবী অভিজিৎ চৌধুরী, শৈবাল মজুমদার, অনমিত্র বারিকেরা জানালেন, আগামীদিনে বীরভূমের অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি হাওড়া, বাঁকুড়া  সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ভাবনা শুরু হয়েছে। 


স্কুল ফের কবে খুলবে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেই আশায় অপেক্ষা করে না থেকে এই ধরনের পাঠশালার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে পরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ফের শিক্ষঙ্গনে এনে পড়াশোনার পরিবেশে একাত্ম করে তুলতে পারলে অনেকটাই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব হবে মনে মনে করা হচ্ছে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন