সমকালীন প্রতিবেদন : দু:স্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং, দরিদ্রদের জন্য বস্ত্র,অনাথ শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মাতৃ দর্শনের ব্যবস্থা করল বীরভূম পুলিশ। মহালয়ার দিন তাদের এই মানবিক ভূমিকায় খুশি এলাকার মানুষ।
এদিন সিউড়ি ডিআরডিসি সভাকক্ষে জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ গ্রহণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়, সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক অঞ্জন কর, প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য ফর্জউদ্দিন।
পুজোয় সবাই যাতে সমানভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে কথা ভেবে চালু হলো মাতৃ পরিক্রমা। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা আশ্রমিকদের, অনাথ আশ্রমে থাকা শিশুদের এবং পথশিশুদের কথা মাথায় রেখে পুজোর চার দিন বীরভূম পুলিশ নিজেদের উদ্যোগে এই সমস্ত মানুষদের গাড়ি করে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরিয়ে প্রতিমা দর্শন করাবেন। সঙ্গে খাবারেরও ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে, সারা জেলায় সাধারণ মানুষ যাতে পুজো নির্বিঘ্নে দেখতে পারেন, তার জন্য চালু করা হলো পুজো গাইড ম্যাপ। আর মাতৃ স্পর্শ প্রকল্পে সিউড়ির দুঃস্থ মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো নতুন বস্ত্র। করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ রয়েছে স্কুল। অনেক ছাত্রছাত্রী আর্থিক কারণে কোচিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে না। মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে, এমন ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বীরভূম জেলা পুলিশ বিনামূল্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর কোচিং এর ব্যবস্থা করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন