Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

দিনের টুকিটাকি : ‌৬ অক্টোবর, ২০২১

 অনাথ শিশুদের পাশে

করোনায় বাবা–মা হারা শিশুদের জন্য মাসিক দুহাজার টাকা করে সহায়তার ব্যবস্থা করলো পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। আজ, মহালয়ার দিন পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় 'শৈশব সেই ই সব' নামে একটি বিশেষ কর্মসূচির। গত দেড় বছরে ‌করোনার কারণে পুরুলিয়া জেলায় এবং জেলার বাইরেও মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। বহু শিশু হারিয়েছে তাদের বাবা–মাকে। তাদের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। আজ রবীন্দ্র ভবনে এমনই ৫২ জন শিশু, কিশোরের হাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তুলে দেওয়া হয় নতুন জামাকাপড় সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এর পাশাপাশি, এই শিশুদের জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা করে বরাদ্দও করা হয়। পুরুলিয়ার জেলা শাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই সহায়তার অর্থ শিশুদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকবে। তাদের নিশুল্কে চিকিৎসা করানোর ব্যাবস্থাও করা হবে। পুরুলিয়ার সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে এই শিশুদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিকে, এদিন পুরুলিয়া শহরের রাজগোড়িয়া ধর্মশালায় বৈদ্য সমাজের পক্ষ থেকে শতাধিক মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল নতুন শাড়ি। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৈদ্য সমাজের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, পুরুলিয়া সিধো কানো বিরসা বিশ্ববিদ্যাল‌য়ের পরীক্ষা নিয়ামক ডঃ সুবল চন্দ্র দে কে সম্বর্ধনা জানান সংস্থার সম্পাদক দীপেন গুপ্ত। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি পলাশ গুপ্ত, সদস্য পার্থ প্রতিম রায়, বিশেষ অতিথি সুবল চন্দ্র দে। 


বারাসতে সামাজিক কাজ

বুধবার বারাসত স্টার রয়্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ডাঃ বিবর্তন সাহার উদ্যোগে বারাসত স্টেডিয়ামে প্রতিবন্ধী মানুষদের হুইল চেয়ার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, মাস্ক সহ অর্থোপেডিক সরঞ্জাম দেওয়া হল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  মন্ত্রী রথীন ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। মন্ত্রীদ্বয় জানান, এইরকম মানবিক উদ্যোগ নেওয়ায় সামাজিকভাবে কিছু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।  অনেকেই শুধু নিজের জন্যই চিন্তা করছেন। কিন্তু সেটা না ভেবে সমাজের জন্য কিছু কাজ করতে হবে। যে কাজটি স্টার রয়্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ডাঃ বিবর্তন সাহা করে দেখালেন। আগামী দিনে এই ধরনের সামাজিক কাজ যাতে আরও বেশি করে করা যায়, তারও আহবান জানান মন্ত্রীদ্বয়। 


জলস্তর বাড়লো নদীর

বীরভূমের শাল এবং  হিংলো নদীতে হঠাৎ জলস্তর বাড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরল। ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত চন্ডিপুর এবং কুকুটিয়ায় শাল নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে গিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে জল ব ইতে থাকে। ফলে ভোগান্তিতে পরতে হয় সাধারণ মানুষকে। বন্ধ করে দিতে হয় গাড়ি চলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ। একইভাবে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে হিংলো জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ভাষা ব্রিজের উপর বিপদসীমার মধ্যে নদীর জল থাকায় ইলামবাজার থেকে পাড়ুই যাওয়ার মূল যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


পুজোয় নতুন বস্ত্র

পুজোর মুখে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগরের পূবালী বাগদীপাড়ায় নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হল। কলকাতার শ্যামবাজারের বঙ্গ সাহু সমাজ এবং গোবরডাঙা প্রয়াস সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এদিন ১১০ জন মহিলার হাতে শাড়ি তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সঞ্জিব সাহু, শ্রীবিন্দু দাস, রুমা মজুমদার প্রমুখ। এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের পক্ষে শ্রীবিন্দু দাস জানান, পূবালী গ্রামের বাগদীপাড়ার প্রায় সব পরিবারই দারিদ্রসীমার নিজে বসবাসকারী। তাই এই অঞ্চলের মানুষদেরকে বেছে নিয়ে এদিন তাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হল।


দুর্গত মানুষদের পাশে

বীরভূমে তিন দিন টানা বর্ষণে বীরভূমে অজয়ের বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছিল লাভপুর নানুর অজয় তীরবর্তী গ্রামগুলি। টানা বর্ষণে ক্ষতি ১০৭ কোটি টাকার।  জলস্তর কমলেও অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন মানুষ। অসহায় মানুষগুলি স্থান নিয়েছেন অজয়ের বাঁধের উপরে। তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন জেলাশাসক বিধান রায়। তাদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করছে নানুর ব্লক প্রশাসন। জেলাশাসক নিজে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় মানুষদের হাতে তুলে দেন ম্যাট্রেস, চার্জার লাইট,পানীয় জল, গ্যাস সিলিন্ডার, স্যানিটাইজার, কম্বল, বেডশীট, বালিশ, মশারি ইত্যাদি সামগ্রি। জলের তোড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া নথি যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করেছেন জেলাশাসক। জেলাশাসকের কাছে বন্যা বিধ্বস্ত সুন্দরপুর এর মানুষজন পুজো করার আবেদন জানালে জেলাশাসক তা মঞ্জুর করেন। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন