সৌদীপ ভট্টাচার্য : ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল এলাকা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক যুবক। মৃত যুবকের নাম সিকান্দার দাস (৩৫)। ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জগদ্দল শ্রীরামপুর এলাকার এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন বাড়িতেই ছিলেন সিকান্দার। দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসেই সিকান্দারকে লক্ষ্য করে গুলি করে খুন করে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিভাবে, আরও কি কারনে এই খুন– তা জানতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাওনা টাকা আদায় নিয়ে বিবাদের জেরে জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় শ্রীরামপুর এলাকায় পাওনাদারের গুলিতে খুন সিকান্দার দাস।
যদিও এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক রং লাগলো। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এর অভিযোগ, 'এই খুনের ঘটনায় জড়িত মনু সাউ একজন তৃণমূল কর্মী। সে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর ঘনিষ্ঠ।' নিজের মোবাইলে সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে অভিযুক্ত মনু সাউ এর ছবি দেখিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেন অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেন, 'এখানে পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদ নয়, তোলা আদায় করতে গিয়ে সেই টাকা না পেয়েই তৃণমূল কর্মী মনু সাউ সিকান্দারকে গুলি করে খুন করেছে।' এই ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে অভিযুক্তর ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করে সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। সব মিলিয়ে সিকান্দার সাউ খুনের ঘটনা নিয়ে ফের রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া–জগদ্দল এলাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন