সমকালীন প্রতিবেদন : ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় নিজের পরিবারের কাছে ফিরতে পারলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা। এই মানবিক দায়িত্ব পালন করলেন উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তের একদল ব্যবসায়ী। এমন কাজ করতে পেরে মানসিকভাবে শান্তি পেলেন তাঁরা।
জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই মহিলার বাড়ি বিহারে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় রাস্তার উপরে থাকতেন ওই ভারসাম্যহীন মহিলা। এলাকার ব্যবসায়ীরা তাঁকে খাবারের পয়সা দিতেন। একদিন খাবারের পয়সা না দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে তাঁর বাড়ি কোথায়, বাড়িতে কে কে আছেন ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করেন। ভারসাম্যহীন মহিলা আপন মনেই বলে ফেলেছিলেন সমস্তিপুর এলাকার নামটি।
তারপর গুগুল সার্চ করে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবারের খোঁজ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। টানা দু বছরের প্রচেষ্টায় অবশেষে মহিলার পরিবারের বিষয়ে আভাস পান তাঁরা। সেই অনুযায়ী বিহারের পীরপাইতি থানায় খবর পাঠান তাঁরা। তাঁরাই এরপর উদ্যোগ নিয়ে ওই মহিলার পরিবারের সন্ধান পান।
শেষে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার থেকে তাঁর মেয়ে পূজা দেবী ও জামাই শংকর রজব সোমবার বনগাঁর পেট্রাপোলে এসে পৌঁছান। তখন জানা যায় যে, ওই মহিলার নাম লক্ষ্মীদেবী। এদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের লোকেরা পেট্রাপোলে পৌঁছাতেই স্বস্তি পান পেট্রাপোলের ব্যবসায়ীরা।
মেয়েকে কাছে পেয়ে হাতছাড়া করতে নারাজ মানসিক ভারসাম্যহীন লক্ষ্মীদেবী। বিহারের ভাগলপুর জেলার নগাছিয়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা লক্ষ্মীদেবী দু বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি পরিবার।
পেট্রাপোলের ব্যবসায়ী মোহন হালদার জানান, 'দু বছরের প্রচেষ্টায় মেয়ের হাতে মা কে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।' লক্ষ্মীদেবীর জামাই শংকর রজক জানিয়েছেন, 'এই এলাকার মানুষের কাজে আমরা খুশি। তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন