সমকালীন প্রতিবেদন : শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে মৃতের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার গাঁতি এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁর ঢাকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার (৪২) এর সঙ্গে ১৩ বছর আগে গাইঘাটার গাঁতির বাসিন্দা স্বপ্না সরকার হালদারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের ১১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে সঞ্জয় একসময় কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে চলে যান।
দীর্ঘদিন পর শুক্রবার বনগাঁর বাড়িতে আসেন সঞ্জয়। বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে পারিবারিক কারণে বিবাদ বাধে। আর সেই কারণে স্বপ্না রাগ করে গাইঘাটার গাতিতে বাপেরবাড়িতে চলে যান। অভিযোগ, এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে সঞ্জয়কে ডাকা হয়। আর তারপর রবিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সঞ্জয়ের দাদা প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, সঞ্জয়কে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধোর করে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। এইমর্মে তিনি সঞ্জয়ের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং শ্যালকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে রাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আপাতত সঞ্জয়ের স্ত্রী স্বপ্না সরকার হালদার ও শাশুড়ি লক্ষ্মী হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার তাদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন