সমকালীন প্রতিবেদন : 'দলবদল এখন একটা ফ্যাশানে পরিনত হয়েছে। যারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের যাওয়ারই ছিল।' বীরভূমে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু রবিবার অশোকনগরে জানান, 'যারা এদিক ওদিক থেকে এসেছিলেন,তাঁরাই ফিরে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ৬–৭ জন বিধায়ক চলে যেতে পারেন, এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।'
শনিবারই কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে গেছে। তিন-চারজন এমন ছিলেন, যারা কখনও দলকে ভালোবেসে বিজেপিতে আসেননি। তবুও আমরা তাঁদের প্রার্থী করেছিলাম। এই নিয়ে আমাদের দলে প্রথম থেকেই বিরোধ ছিল। তবুও আমরা তাঁদের জায়গা দিয়েছি, তাঁরা জিতে এসেছেন। এখন তাঁদের হয়তো কোনও অসুবিধা আছে। কারোর ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত, আবার কাউকে চাপ, ভয়, লোভ দেখানো হচ্ছে। যারা হজম করতে পারছেন না, তাঁরা চলে যাচ্ছেন। মুকুলবাবু যদি চলে যেতে পারেন, তাহলে যে কেউ চলে যেতেই পারে।'
তিনি আরও বলেন, যারা চলে যাচ্ছেন, তাঁরা তো গরু– ছাগল নয় যে আটকে রাখব? রাজনীতিতে যেদিকে পাল্লা ভারী থাকে, সেদিকে লোক চলে যায়।' দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, 'তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেই সিআইডি তলব করা হয়। যে কারণে শুভেন্দু অধিকারীকে সিআইডি ডেকে পাঠিয়েছে। আমাদের দলে এলেই তাঁর বিরুদ্ধে কেস হবে, সিআইডি ডাকবে। যতদিন মুকুলবাবু আমাদের দলে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক কেস হয়েছে। যখন তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন, তারপরে আর কেস হয়নি।'
এদিকে, রবিবার অশোকনগরে বিজেপির টিচার্স সেলের শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন সায়ন্তন। সেখানে সাংবাদিকদের সায়ন্তন বসু বলেন, 'সিবিআই এর পাল্টা রিঅ্যাকশন এ সিআইডিকে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। সিবিআই নেমেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। কিন্তু সিআইডি তো তা নয়! এর ফল হবে মারাত্মক। অনেক নেতা, এমনকি বেশ কিছু কর্মীও তাদের কর্মফলের জন্য কিছু দিনের মধ্যেই জেলে যাবেন।' সায়ন্তন জানান, 'শুধুমাত্র ভবানীপুরে কেন ভোট হবে, এটা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। আর ভবানীপুরে ভোট হলেই মমতা ব্যানার্জি যে জিতবেন, তার গ্যারান্টি কি আছে! যদি না জেতেন তাহলে কিন্তু সেই সমস্যা থেকেই যাবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন