সমকালীন প্রতিবেদন : 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' সহ রাজ্য সরকারে ১৮ টি প্রকল্পের সুবিধা দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে প্রত্যেক আবেদনকারী আবেদনের সুযোগ পাবেন। আর সে ব্যাপারে সুষ্ঠভাবে শিবির পরিচালনা যে সম্ভব, তারই নমুনা শিবির অনুষ্ঠিত হল বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাখালদাস হাইস্কুলে। শিবির সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এদিন সেখানে হাজির হন বনগাঁর মহকুমা শাসক।
১৮ আগস্ট থেকে এই রাজ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরের শিবিরে যেখানে সবথেকে বেশি চাহিদা হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার জন্য, সেখানে এবারের শিবিরের অন্যতম চাহিদা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের জন্য। এবছর এই প্রকল্পটি নতুন সংযোজিত হয়েছে। এখানে আবেদনকারী মহিলারা, যারা সরকারি চাকরি করেন না, তাঁরা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে বিশেষ ভাতা পাবেন। তপশিলি জাতিভূক্ত হলে সেই ভাতার পরিমান এক হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির শুরু হতে রাজ্যের সর্বত্রই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদনের ভিড় ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই ভিড় এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বিশেষ শিবিরেরও আয়োজন করা হচ্ছে, সরকারিভাবে যার নাম দেওয়া হয়েছে 'আউটরিচ ক্যাম্প।' এইসব ক্যাম্পে আবেদনপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি পূরণ করা আবেদনপত্র জমাও নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে একটি অস্থায়ী নম্বর দেওয়া হচ্ছে। পরে সেই আবেদনপত্র নথিভুক্ত হবার পর আবেদনকারী আসল নম্বর পেয়ে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে বনগাঁর মহকুমা শাসক প্রেমবিভাস কাঁসারী বলেন, 'রাজ্য সরকারের ১৮ টি প্রকল্পের জন্যই শিবিরগুলিতে আবেদন করা যাবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এই শিবির চলবে। প্রয়োজনে শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে কেউ আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হবেন, এমন কোনও সম্ভবনা নেই। আর তাই এই নিয়ে আবেদনকারীদের অযথা হুড়োহুড়ি করার দরকার নেই।'
দুয়ারে সরকারের শিবির যে সুন্দরভাবে, সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা সম্ভব, তারই প্রমান দিল বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ব্লক এবং মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় রাখালদাস হাইস্কুলে বিশেষ শিবির বসেছে। যেখানে রাজ্য সরকারের ১৮ টি প্রকল্পকে নানাভাবে সাজিয়ে আলাদা আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা করে, সেখান থেকে আবেদনকারীদের ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। বনগাঁর বিডিও অর্ঘ দত্ত জানান, 'কোনও বাইরের মধ্যস্থতাকারী নয়, আশা কর্মী, গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের মতো যারা সরকারি কাজে যুক্ত, এমন মানুষদের এমনকি কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েদেরও এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে।'
বুধবার রাখালদাস হাইস্কুলের এই ক্যাম্প ঘুরে দেখেন মহকুমা শাসক সহ মহকুমা এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, রাখালদাস হাইস্কুল ছাড়াও তাঁর পঞ্চায়েত আলাকায় আরও ৪ টি শিবির খোলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় এড়িয়ে সহজেই যেকোনও প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন আবেদনকারীরা। মহকুমার অন্যান্য ব্লকেও এইধরনের বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন