সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থানার হৃদয়পুর আপনপল্লী এলাকায় বিধবা শ্যালিকাকে খুনের ঘটনায় বোনের স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোরবডাঙা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জয়দেব সাহা নামের ওই ব্যক্তিকে। তার বাড়ি বারাসত থানার রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায়। ধৃতকে মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাড়ির ভেতরেই শম্পা সরকার নামে এক বিধবা মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, মৃত শম্পার বোনের স্বামী জয়দেব সাহা পলাতক ছিল। তখনই পুলিশের মনে প্রথম খটকা লাগে। পুলিশ বারাসতের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় জয়দেব সাহার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে যে, প্রায় দিনই বাড়িতে অশান্তি করে জয়দেব। এদিনও সেইরকম ঘটনা ঘটিয়ে হাতে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় জয়দেব।
এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর জয়দেবের স্ত্রীর কাছে খবর আসে যে, তাঁর দিদি খুন হয়েছেন। আর তারপর থেকে নিখোঁজ জয়দেব। এরপর থেকে পুলিশ জয়দেবের সন্ধান চালাতে থাকে। গভীর রাতে পুলিশ বিশেষ সূত্রে জানতে পারে যে, জয়দেব গোবরডাঙা থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে। রাতেই বারাসত থানার পুলিশ গোবরডাঙা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে। তবে কি কারণে সে এই খুনের ঘটনা ঘটালো, পুলিশের কাছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন