সমকালীন প্রতিবেদন : যাত্রী পরিবহনে গতি আনতে পেট্রাপোল সীমান্তে নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং–১ এর উদ্বোধন হল। শুক্রবার নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করলেন ভারতের দুই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং নিশীথ প্রামানিক। ছিলেন বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের হাইকমিশনার সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।
পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে যে পরিমানে যাত্রী যাতায়াত করেন, সেই অনুযায়ী পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ফলে সমস্তরকম সরকারি নিয়মকাজ সেরে যাত্রীদের দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে প্রচুর সময় লেগে যাচ্ছে। এছাড়া, যাত্রীদের পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
এই অভাব মেটাতে এবারে উদ্যোগী হল ভারত সরকার। আপাতত আধুনিক মানের একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং চালু করা হল। এদিন নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। ১৩০৫ বর্গ মিটার এলাকার উপর নির্মিত এই নতুন টার্মিনালটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। এখানে ৩২ টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪ টি কাস্টমস কাউন্টার এবং ৮ টি সিকিউরিটি কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত দ্বিতীয় বাণিজ্যিক গেটের উদ্বোধন হয় এদিন। আগামী দিনে এই ধরনের আরও একাধিক টার্মিনাল তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
নতুন টার্মিনাল উদ্বোধনের পরে ভারত এবং বাংলাদেশের মন্ত্রীরা জানান, আধুনিক মানের টার্মিনাল নির্মাণের ফলে আগামীতে যাত্রী যাতায়াতে গতি আসবে। অনেক কম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের কাগজপত্র পরীক্ষা সহ অন্যান্য কাজকর্ম দ্রুত সারা যাবে। বিমান বন্দরে যে ধরনের সুবিধা থাকে, পেট্রাপোল স্থলবন্দরকেও সেভাবেই সাজিয়ে তোলা হবে।
ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, 'ভারত এবং বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই নতুন এই টার্মিনালের উদ্বোধন হলো। ভারত এবং বাংলাদেশ শুধু মিত্র দেশই নয়, দুই ভাইয়ের মতো সম্পর্ক আগেও ছিল, বর্তমানে আছে এবং আগামীতেও থাকবে।'
বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, 'ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এমন একটি অনুষ্ঠান বাংলাদেশের কাছে বড় উপহার। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আগামীতে আমরাও চেষ্টা করবো বেনাপোলকেও আধুনিক সাজে সজ্জিত করার।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন