দেবাশীষ গোস্বামী : ভারতীয় ফুটবলের মক্কা হিসেবে পরিচিত কলকাতা। আর কলকাতা ফুটবলের প্রধান আকর্ষণ হল কোলকাতা ফুটবল লিগ। সেই কোলকাতা ফুটবল লিগ এবার কোলকাতার দুই বড় দলের জন্য ঔজ্জ্বল্য হারাতে বসেছে।
গত বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল এই খেলা। এবার করোনার প্রকোপ সামান্য কম হবার পরই গত ১৭ আগষ্ট কলকাতা লিগ শুরু হয়েছে। কোলকাতা ফুটবল লিগের পরিচালক সংস্থা আইএফএ প্রথমে কলকাতার দুই প্রধান দলকে রেখে ক্রীড়াসূচি প্রকাশ করে। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গল তাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য এখনও দল তৈরি করে উঠতে পারে নি। সেই কারণ দেখিয়ে ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী দল নামাতে অসমর্থ হয়।
কলকাতার আর এক প্রধান দল এটিকে মোহনবাগান এফসি কাপ খেলার জন্য প্রথম থেকেই লিগে খেলার জন্য আপত্তি জানিয়ে আসছিল। পরবর্তীকালে তারা বলে, এফসি কাপের খেলা শেষ হলে লিগে অংশগ্রহণ করবে। এর পরে তাদের এক কর্মকর্তা বলেন যে, মোহনবাগান টিম এএফসি কাপের সেমিফাইনাল খেলে ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরছে। আবার ২ অক্টোবর আইএসএল খেলতে গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
এই মধ্যবর্তীকালে তাদের দুটি ম্যাচ খেলতে পারবে খুবই অবাস্তব ব্যাপার। এটিকে মোহনবাগানের কোচ ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন, তিনি কলকাতা লিগের মতো অপেশাদার লিগ খেলতে রাজি নন। এফসি ইস্টবেঙ্গল বেশ দেরী করে দল গঠন শুরু করলেও বেশ কয়েকদিন যাবৎ শোনা যাচ্ছে, অনেক নামিদামি বিদেশি খেলোয়াড় তাদের দলভুক্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন।
কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ হাবেভাবে বোঝাতে চাইছে যে, তারা যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কথা দিয়েছেন এবং চূড়ান্ত চুক্তি এখনও হয়নি, তাই শুধু আইএসএলের খেলাগুলি খেলবে। অন্য কোনও লীগ বা টুর্নামেন্ট খেলতে তারা ইচ্ছুক নয়।
ভারতীয় ফুটবলের এই পেশাদার ও অপেশাদার বিতর্কে নাভিশ্বাস উঠেছে কলকাতা ফুটবল লিগের। এরমধ্যে এআইএফএ প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপের খেলাগুলি শেষ করতে চাইছে। কারণ, তাদের কাছেও আইএসএল এর খেলাগুলি প্রধান অর্থাৎ নভেম্বরের পর থেকে আর কোনও টুর্নামেন্ট রাখতে চাইছে না।
এবারের কলকাতা লীগে এখন পর্যন্ত গ্রুপ এ' তে ভবানীপুর ৬ টি ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থানে আছে। গ্রুপ বি তে পিয়ারলেস ৫ টি ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থানে আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন