সমকালীন প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক মহিলা রোগীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। রোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা ওই রোগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছুটি করিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেল পরিবার। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ডায়েরিয়ার সমস্যা দেখা দেওয়ায় সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকারই এক গৃহবধূকে। তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ ওই ওয়ার্ডে রোগী হিসেবে তিনি তখন একাই ভর্তি ছিলেন। সেই মুহূর্তে ওয়ার্ডে কোনও সিস্টার বা চিকিৎসক– কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
ওই বধূর অভিযোগ, 'একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে সেই সময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সঞ্জিত বিশ্বাস ওয়ার্ডে ঢুকে আমাকে গা মুছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় সে এরপর জোর করে আমাকে বেড থেকে তুলে আমার পিঠ, ঘাড় ম্যাসাজ করতে থাকে। অসুস্থ অবস্থাতেই আমি বার বার তাকে বাধা দেবার চেষ্টা করলেও সে জোর করে সেই কাজ চালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আমার কাকিমা, বাবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে পৌঁছালে ওই স্বাস্থ্যকর্মী চলে যায়। আমি তখন বাড়ির লোকোদের কাছে সব ঘটনা খুলে বলি।'
এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পরে যায়। খবর পেয়ে বধূর স্বামীও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে উপস্থিত হন। সেইসময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত নার্সকে বিষয়টি জানালে তিনি এমন হতে পারে না বলে জানান। এই ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় অসুস্থ অবস্থাতেই ওই বধূকে জোর করে ছুটি করিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। রাতেই ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এই গৃহবধূ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে গাইঘাটার ভেন্নাপাড়ার বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন