এইচআইভি আক্রান্তদের ভ্যাকসিন
বারাসত হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্তদের দেওয়া হল করোনার ভ্যাকসিন। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায় জেরবার গোটা দেশ। তার আগে সকলকে যত শীঘ্র সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সদর হাসপাতালে দেওয়া হল এইচআইভি আক্রান্ত ২০০ জন পুরুষ ও মহিলাকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হল। এদিন ভ্যাকসিন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন হাসপাতাল সুপার সুব্রত মন্ডল। তিনি বলেন, 'প্রথমে আমরা মানুষ, আর মানুষ হলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই উদ্যোগ।' আগামীতে বাকি এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এইচআইভি আক্রান্ত এক মহিলা জানালেন, অনেকদিন আগে থেকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তিনি নিতে পারেননি। এমনকি ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে আসতে হয়েছে। এরপর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বারাসত হাসপাতাল সুপারকে লিখিতভাবে জানানোর পর আজ এই ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা হয়।
দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট
রাজ্য সরকার দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করেছে। আর সেই কর্মসূচির পাইলট প্রজেক্ট বীরভূম জেলায় চালু করতে চায় রাজ্য সরকার। আর সেটি সফল করতে সোমবার জেলা প্রশাসন ভবনে বৈঠক করলেন খাদ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন। খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে জেলার ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে নিয়ে এই প্রকল্প চালু করতে বাড়ি বাড়ি রেশন সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। খাদ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি জানান, এর জন্য রাজ্য সরকার রেশন ডিলারদেরকে কেজি প্রতি অতিরিক্ত ৭৫ পয়সা করে ধার্য করেছে। বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় জানান, রেশন ডিলাররা সপ্তাহে ৫ দিন রেশন সামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আধার লিংক এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তা গ্রহণ করবেন বলে জানান। দপ্তরের মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক বিধান রায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মেন্টর অভিজিৎ সিনহা রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন