সমকালীন প্রতিবেদন : গ্রাম পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প ব্যবহার করে, প্রধানের সই জাল করে কুপন বিলি করে তার মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অথচ এব্যাপারে পঞ্চায়েতের প্রধান কিছুই জানেন না। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকে। সমালোচনা করতে ছাড়লো না বিজেপি।
জানা গেছে, গাইঘাটার ইছাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার গাইঘাটা হাইস্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছিল। সেখানে পঞ্চায়েতের টোকেন ছাড়া কাউকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। স্লিপ ছাড়া অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে এসে ফিরে যান। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের হাতে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প এবং প্রধানের সই করা স্লিপ।
যদিও এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান শংকরী পাল জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে ভ্যাকসিনের জন্য কোনও টোকেন দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি টোকেন সিস্টেম বিশ্বাস করেন না। তিনি আরও জানান, যিনি আগে আসবেন, তিনি আগে ভ্যাকসিন পাবেন। কে বা কারা টোকেন দিচ্ছে, তা তাঁর জানা নেই। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, অনৈতিকভাবে পঞ্চায়েতের স্ট্যাম্প ব্যবহার করে, তাঁর সই জাল করে এই টোকেন বিলি করা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি তদন্তের দাবি করেছেন।
তবে উপপ্রধান ইসমাইল মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি টোকেন বিলি করেছেন। সেই বিষয়টি প্রধান জানেন বলে উপ প্রধানের দাবি। ভিড় কমানোর জন্যই এই টোকেন সিস্টেম চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধান। প্রধান এবং উপ প্রধানের মধ্যে এমন পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজেপির দাবি, প্রধান এবং উপপ্রধানের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর তারজন্য হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। টোকেন ছাড়া পঞ্চায়েতে কোনও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। আর সেই টোকেন বিজেপির কেউ পাচ্ছেন না বলে বিজেপির অভিযোগ।
এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানিয়েছেন, অথরাইজ ছাড়া কেউ স্বাক্ষর করতে পারেন না। প্রধানকে অবশ্যই জানতে হবে। তাঁর স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভ্যাকসিনের টোকেনের ক্ষেত্রে তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গোবিন্দ দাস। এব্যাপারে প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন