Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বনগাঁয় অভিনব কায়দায় ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা গায়েব

 

Big-money-disappears-from-the-account

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বাড়ি কিনতে এসে অভিনব কায়দায় ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকের দল। বনগাঁ শহরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখার কতিপয় কর্মী জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রতারিত ব্যবসায়ী। এব্যাপারে পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বনগাঁ শহরের পুরনো চাকদা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর কুন্ডু তাঁর দ্বিতল বাড়িটি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে দিন কয়েক আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেন। সেই বিজ্ঞাপন দেখে গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ক্রেতা সেজে দুই ব্যক্তি আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে শ্যামসুন্দরবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। 

বাড়ি দেখে তাদের পছন্দ হয় এবং তারা বাড়িটি কিনতে চায় বলে জানায়। অগ্রিম হিসেবে তারা তিন লক্ষ টাকার একটি চেকও দেয়। পাশাপাশি, আরও টাকা শ্যামসুন্দরবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবে বলে তাঁর কাছ থেকে একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক চেয়ে নেয় প্রতারকেরা। সেই চেকে শ্যামসুন্দরবাবু নিজে হাতে 'ক্যানসেল'‌ শব্দটি লিখতে চাইলেও প্রতারকেরা চেকটি নিজেদের হাতে নিয়ে নিজেদের পেন দিয়ে চেকের উপর ক্যানসেল লিখে দেয়। সেই পেনটিই যে এই প্রতারণার মূল হাতিয়ার, তা তখন ঘুণাক্ষরেও টের পান নি শ্যামসুন্দরবাবু। 

এই ঘটনার দুদিন পরে হঠাৎই শ্যামসুন্দরবাবুর মোবাইলে মেসেজ আসে যে, তাঁর স্টেট ব্যাঙ্কের বনগাঁ শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। সেই বার্তা পেয়ে অবাক হয়ে যান শ্যামসুন্দরবাবু। পাশাপাশি, ওই ব্যক্তিরা বাড়ি কেনার জন্য অগ্রিম বাবদ যে চেকটি দিয়ে গিয়েছিল, সেটিও জাল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সব দায় এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর প্রতারিত ব্যবসায়ী আইনজীবী মারফত বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে সদুত্তর না দিলে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ওই ব্যবসায়ী জানান।

প্রতারিক ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর কুন্ডুর বক্তব্য, মোটা অঙ্কের টাকা যখন অন্য কোনও ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে নগদে টাকা তুলে নিচ্ছে, সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, টাকা পেমেন্টের আগে অ্যাকাউন্ট হোল্টারকে এব্যাপারে ইন্টিমেশন দেওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সেসব কিছুই করা হয় নি। এই পরিস্থিতিতে শ্যামসুন্দরবাবুর সন্দেহ, এই প্রতারণা চক্রে ব্যাঙ্কের এক বা একাধিক কর্মী জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে প্রতারকদের মোবাইলের সুইচ অফ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন