সমকালীন প্রতিবেদন : সিম বক্সের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক ফোন কলকে স্থানীয় কলে পরিনত করার একটি আর্ন্তজাতিক চক্রের সন্ধান পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এই চক্রের মূল পান্ডা এক বাংলাদেশি নাগরিক এবং তার দুই শাগরেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সিম বক্স, সিম কার্ড, রাউটার ইত্যাদি সামগ্রী। এই অভিযান এসটিএফের একটা বড় ধরনের সাফল্য।
জানা গেছে, এই চক্রের মূল পান্ডা মামুন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তার দুই শাগরেদ রনজিৎ নাহা এবং ইরশাদ আলি মল্লিকের বাড়ি যথাক্রমে শিলিগুড়ি এবং নদীয়ার নাকাশিপাড়া এলাকায়। মামুন গত দু'বছর ধরে ভারতে বসেই এই বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল। এই চক্রটি সিম বক্সের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক কলকে স্থানীয় কলে পরিনত করে অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল।
এই বক্সের মাধ্যমে ফোন করলে কে ফোন করছে অর্থাৎ কোন নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে, তা বোঝা যায় না। ভারত ছাড়াও চীন, পাকিস্তানের পাশাপাশি আরব এবং অন্যান্য দেশ থেকেও বিভিন্ন ব্যক্তি এই চক্রের মাধ্যমে এইভাবে ফোন করত। কোনওরকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিকল্প টেলিফোন পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছিল এই চক্রটি। এর ফলে সরকারের বড় মাপের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল।
বুধবার গভীর রাতে এসটিএফের একাধিক দল একযোগে বিধাননগর, কলকাতা সহ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতেও হানা দেয়। মোট তিনজন গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ২৩টি সিম বক্স, ১৭ টি রাউটার এবং প্রায় ৪০০ টি প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড, ওয়াইফাই মোডেম, ল্যাপটপ, ডেটা কেবল এবং মোবাইল যোগাযোগের অন্যান্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়েছে।
এব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানায় এসটিএফের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএফ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে উগ্রপন্থীরাও এই ব্যবস্থার সুযোগ নিত। সম্প্রতি বিধাননগর এলাকায় পুলিশের গুলিতে হত পাঞ্জাবের দুই উগ্রপন্থীও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ফোন কল করতো। ভারতের অন্য রাজ্যের পুলিশও এই চক্রের সন্ধান চালাচ্ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন