সমকালীন প্রতিবেদন : 'দেশের সবথেকে জনপ্রিয় মানুষটিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। সেই দক্ষতা, জনপ্রিয়তা মমতা ব্যানার্জির আছে।' এভাবেই পরোক্ষে মমতা ব্যানার্জিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।
বিজেপি ছেড়ে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবার পর হঠাৎ করেই শনিবার তৃণমূলে যোগদান করেন বাবুল সুপ্রিয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। রবিবার সেইসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাবুল।
এদিন তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি কাজ করার যে সুযোগ করে দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি জানি, তৃণমূলে যোগ দেবার জন্য অনেক রকম সমালোচনা হবে। তবুও রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও সেই সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হলাম।'
এদিন তিনি বলেন, 'তৃণমূলে যোগদানের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন বন্ধু ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূল কংগ্রেস কে ধন্যবাদ, আমাকে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। দল বদলে আমি কোনও ইতিহাস তৈরি করছি না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ এসেছে। সেটা কাজে লাগানোর জন্যই নতুন করে, নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হবে জেনেও তৃণমূল নেতৃত্ব আমাকে সিদ্ধান্ত বদল করতে মোটিভেট করতে পেরেছে।'
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগদান করায় দল আরও শক্তিশালী হবে। দলের কর্মীরা খুবই উৎসাহিত। বাবুলের গ্রহণযোগ্যতা আছে সাধারণ বাঙালির কাছে।'
বাবুল এদিন জানান, বুধবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তিনি বলেন, 'খেলার সুযোগ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছি। তৃণমূলে এসে এই দলের পরিকাঠামো জানার চেষ্টা করছি। যতটা খুশি মনে বিজেপি ছেড়েছিলাম, ততটা খুশি মনেই তৃণমূলে যোগদান করেছি। ২০১৪ সাল থেকে আমি আমার সেরাটা দলের জন্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখনও নতুন দলে এসে সেই চেষ্টাই করবো।'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল আরও বলেন, 'আমি প্রথম একাদশে খেলতে চাই। ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচার করার জন্য আমাকে প্রয়োজন নেই। তিনি এমনিই জিতবেন। ভারতবর্ষে শক্তিশালী বিরোধী মুখ হিসেবে একমাত্র মমতা ব্যানার্জিই রয়েছেন। সব কটূক্তির জবাব সরাসরি দেবো না। কাজের মধ্যে দিয়েই সব উত্তর দেব।' দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, 'তাঁর বাংলা ভাষা সম্পর্কে ঘাটতি আছে। তাই তাঁকে বর্ণপরিচয় উপহার দেওয়া হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন