সমকালীন প্রতিবেদন : বিজেপিতে স্বাধীনভাবে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। আর তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বনগাঁর বহু নেতা, কর্মী। দলত্যাগীদের এমনই বক্তব্য। শুক্রবার দুপুরে বনগাঁর বাটা মোড় এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজেপি ছেড়ে আসা এসব নেতা, নেত্রীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার, চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত, তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ, শ্রমিক নেতা নারায়ণ ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতা।
এদিনের এই দলত্যাগের ঘটনায় বনগাঁর বিজেপিতে বড়োসড়ো ভাঙন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন যারা তৃণমূলে যোগদান করলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বনগাঁ উত্তর পুরমন্ডলের সভাপতি শোভন বৈদ্য, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব পাল, সংখ্যালঘুর মোর্চার কনভেনার বেবি মন্ডল, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাজু বিশ্বাস, বনগাঁ পুরমন্ডলের মহিলা মোর্চার সম্পাদিকা শর্মিষ্ঠা বর্ধন প্রমুখ।
বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা শোভন বৈদ্য বলেন, 'বিজেপির মধ্যে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিজেপিতে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সম্ভব হচ্ছিল না তাই মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাজে সামিল হতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে তৃণমূলে যোগদান।' তিনি বলেন, এদিন বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের সভাপতি, কনভেনার, যুব মোর্চা, এসসি- এসটি মোর্চা ও বনগাঁ মহকুমার বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় এক হাজার নেতা, কর্মী আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন।
দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, 'দলত্যাগীরা বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই দল বিরোধী কাজ করছিলেন। দল ওদের সাসপেন্ড করেছে৷ এরা চলে যাওয়ায় দল আগামী দিনে শক্তিশালী হবে।' বনগাঁর এদিনের মেগা যোগদান পর্ব কে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন