সমকালীন প্রতিবেদন : তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের মারধোরের ফলে মৃত্যু হয়েছে এক বিজেপি নেতার। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। না হলে মৃতদেহ নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও এর হুমকি দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
ঘটনার সূত্রপাত ৩১ আগস্ট। ওই দিন বনগাঁ ব্লকের চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনাস্থার পক্ষে বেশি ভোট পেয়ে যখন বিজেপির হাত থেকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা তৃণমূলের পক্ষে যাচ্ছে, তখন বিজেপি নেতৃত্ব কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশিকা দেখিয়ে বলে যে, এই অনাস্থা ভোট অবৈধ। এরপর ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়।
ওইদিন ভোটগ্রহন পর্বকে কেন্দ্র করে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও সেখানে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত হওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তারও করে। এই ঘটনার পর পুলিশ এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বনগাঁ দক্ষিন কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের অভিযোগ, ওই দিন আমাদের দলের নেতা, ৪ বারের পঞ্চায়েত সদস্য তথা দিঘাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অরুণ কুমার সরকার ওরফে সুজয় (৫৬) ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের একাধিক স্থানীয় নেতা তাঁকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওযা হয়।
এই ঘটনার পর সব স্বাভাবিক চললেও শনিবার ভোরে নতুন করে অসুস্থ হয়ে পরে অরুণ সরকার। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নদীয়ার কল্যানীতে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ৩১ আগস্ট তৃণমূলের হামলার ঘটনায় ইন্টারনাল হ্যামারেজ হয়েছিল অরুণ সরকারের। আর সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল দাবি করেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিকিৎসকের উপস্থিতিতে অরুণ সরকারের দেহ ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। পাশাপাশি, অরুণবাবুর মৃত্যুর জন্য দায়ী অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে মৃতদেহ নিয়ে বনগাঁর পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভে নামবেন বিজেপি কর্মীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন