মাছ ভরা পুকুরে বিষ
পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চড়ুইগাছি এলাকায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মৎস্য ব্যবসায়ীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চড়ুইগাছি কবর খোলার দুই বিঘা জমির পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন জলেশ্বরের বাসিন্দা সঞ্জয় ভৌমিক নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। মাস কয়েক আগে সেখানে তিনি মাছ চাষ করেছিলেন। বর্তমানে সেই মাছের বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। অভিযোগ, সোমবার সকালে তিনি খবর পান তার পুকুরে কেউ বা কারা বিষ দিয়ে দিয়েছে। এতে সব মাছ মারা যাচ্ছে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সঞ্জয়। বহু চেষ্টা করেও পুকুরের মাছ বাঁচাতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে তিনি গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, কেউ বা কারা শত্রুতা করে পুকুরে বিষ দিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুকুর পরিদর্শনে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুকুর মালিক রফিক আলি রোমানিয়া বলেন এই পুকুরে মাঝেমধ্যেই কেউ শত্রুতা করে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলে। এবছর সঞ্জয়কে তারা পুকুর লিজ দিয়েছিলেন। ধারদেনা করে সঞ্জয় মাছ চাষ করেছিলেন। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন তিনি।
আত্মীয় সেজে প্রতারণা
আত্মীয় সেজে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করে পালালো ভুয়ো আত্মীয়। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের দুর্গাপুরের পুকুরপাড়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অমর বিশ্বাস নামে এলাকার এক কৃষক তাঁর বড় ছেলের বিয়ে দেন নদীয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা কমলপুর এলাকায়। দিন কয়েক আগে হঠাৎ করেই মেয়ের কাকা সেজে অমল বিশ্বাসের বাড়িতে আসে এক ব্যক্তি। বৌমার কাকা হিসেবে সেই ব্যক্তিকে সাধ্যমতো যত্ন করেন তাঁরা। যদিও বৌমা অদিতি জানান, তিনি কোনদিনই তাঁর কাকাকে চোখে দেখেন নি। শুধু তার কথা শুনেছেন। সেই বিশ্বাসে আগন্তুক ব্যক্তিকে কাকা হিসেবে ধরে নিয়ে খুসি হন অদিতি। এরপর থেকে শুরু হয় টাকা আত্মসাতের ফাঁদ তৈরি করার পরিকল্পনা। পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য অমর বিশ্বাস জমির পাট বিক্রি করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করেন। সঙ্গে সুদে টাকা নিয়ে মোট টাকার পরিমান হয় ২ লক্ষ ৩০ হাজার। ইতিমধ্যে নকল কাকা বনগাঁয় বিশেষ কাজে যাবে বলে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে বাড়ি থেকে চলে যাবার পর বাড়ির লোকেরা টের পান, জমানো টাকা উধাও। আর তখনই তাঁরা বুঝতে পাবেন, আগন্তুক ব্যক্তি আদৌ আত্মীয় নয়, সে একজন প্রতারক। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন