Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

উত্তর সম্পাদকীয় : খেলা হবে, হোক না একটু অন্যভাবে

 

Will-play

খেলা হবে, হোক না একটু অন্যভাবে

বাসুদেব পাল

বর্তমানে 'খেলা হবে' কথাটি যে অর্থে প্রয়োগ হচ্ছে, সে বিষয়ে এই লেখার অবতারণা নয়। আমি 'খেলা হবে' বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখতে চাই। ধরা যাক,‌ আমাদের রাজ্যে ২০২২ সালে ৩০০০ পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হবে। রাজ্যে মহকুমা আছে ৬৬ টি, ব্লক আছে ৩৪১ টি, পুরসভা আছে ১২১ টি। ৩০০০ পুলিশ কর্মী নিয়োগের জন্য যদি ৬৬ টি মহকুমায় সমান ভাগে ভাগ করা হয়, তাহলে প্রায় ৪৫ জন করে একেকটি মহকুমার ভাগে পড়বে। ব্লক এবং পুরসভাতে সমান ভাগ করলে একটা ব্লক কিংবা পুরসভার ভাগে প্রায় ৬ জন করে দাঁড়াবে। 

প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরে চক্র, জেলা এবং রাজ্যভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়ে থাকে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্কুল কিংবা কলেজে এমন সুসংহত ব্যবস্থা নেই। ইচ্ছা করলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও জেলা এবং রাজ্য এমনকি জাতীয় স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। ব্লক  ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০২১ সালে যারা দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করবেন, তাঁদেরকে আঠারো বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ধারাবাহিক প্রতিযোগিতার ফলাফলের ভিত্তিতে পুলিশে নিয়োগ করা যেতে পারে। 

প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ মহকুমা ভিত্তিকও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে নিয়োগের ঝামেলা অনেকটাই এড়ানো যায়। শারীরিক সক্ষমতা সম্পন্ন ছেলে মেয়েরা পুলিশের চাকরির জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করেন, তাঁরা পড়াশোনায় অপেক্ষাকৃত কম মানের হয়। অবশ্যই ব্যতিক্রম থাকে। ছেলে, মেয়ে অনেক ভালো শারীরিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নানান কারণে পড়াশোনা থেকে সরে যায় এবং বিপথে চালিত হয়। পুলিশের চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, তাহলে তাঁদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। সব চাকরির জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় না। 

পাশাপাশি, ডিফেন্সের অন্যান্য সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রে জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ধারাবাহিকতা পর্যবেক্ষণ করে নিয়োগপত্র দেওয়া যেতে পারে‌। ডিফেন্সের যেকোনও পরীক্ষায় দেখা যায়, হাজার হাজার ছেলে মাঠে হাজির হন। নানান রকম অরাজকতা তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে হুড়োহুড়িতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে যারা সফলতা অর্জন করেন, তাঁদেরকে অন্য কোনওরকম শারীরিক কসরতের পরীক্ষা না নিয়ে সহজেই ডিফেন্সের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ করা যেতে পারে। 

সে ক্ষেত্রে যেমন নিয়োগের ঝামেলা কমে, তেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং শারীরিক সক্ষমতা যুক্ত ছেলেমেয়েরা চাকরির লক্ষ্যে অবিচল থেকে সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারে। ধারাবাহিকভাবে এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া থাকলে প্রতিটি ছেলেমেয়ের মধ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে। যা সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে সুবিধা পাওয়া যায়। অনেকটা হতাশামুক্ত হওয়া যায়। অনেকরকমভাবে অনেক খেলা চলছে। এওতো খেলা, এই খেলাই হোক না।

                                  -----------------------------



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন