সৌদীপ ভট্টাচার্য : বাদুড়িয়ার গ্রাম থেকে অপহৃত ২ কিশোরী পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হল ছত্রিশগড় থেকে। এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদুড়িয়া থানার আটুরিয়া ও আটঘরা গ্রাম থেকে বছর ষোলোর দুই কিশোরী গত ২৭ জুলাই থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। স্বরুপনগর থানার হঠাৎগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বছর তিরিশের যুবক আলামিন দলদার দুই কিশোরীকে অপহৃত করেছে বলে পরে জানা যায়।
অপহৃত দুই নাবালিকার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ২৭ জুলাই সকালে পড়তে যাবার উদ্দেশ্যে দুই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না। পরিবারের তরফ থেকে বাদুড়িয়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ওই দুই কিশোরীর মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে যে, তারা ভিন রাজ্যে রয়েছে। পুলিশের তখন ধারনা হয় যে, ওই দুই কিশোরী অপহৃত হয়েছে।
পুলিশ আরও জানতে পারে, আলামিন দলদার নামে ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরীদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথাবার্তা হয়েছে। এর মধ্যে প্রেম, বিয়ের প্রলোভন আছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখে পুলিশ। যুবকের সঙ্গে আগে তাদের পরিচয় হয়েছিল কি না, তা জানতে দুই কিশোরীর মোবাইল ফোনের কললিস্টও পরীক্ষা করে পুলিশ।
এরপর বাদুড়িয়া থানার পুলিশ আধিকারিক অনিল শাউয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে ছত্রিশগড়ে গিয়ে সেখানকার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে আলামিন নামে ওই যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও পাচার চক্র যোগ আছে কিনা। তাও ওই যুবক সহ দুই কিশোরীকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। কিশোরীর বাবা ইসার আলী মন্ডল বলেন, 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। টেলিফোনে মেয়ে সেটা আমাকে জানায়।'
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত সিনহা মহাপাত্র বলেন, 'পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত দুই নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য সচেষ্ট হয়। তাদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে দেখা যায়, তাদের অবস্থান ছত্রিশগড়। তারপর জেলা পুলিশ ছত্রিশগড় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপহৃত দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি এর সঙ্গে কোন বড় পাচারকারী যুক্ত আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন