দেবাশীষ গোস্বামী : শ্রী হরিমোহন বাঙ্গুর, এই নামটা আপনারা শুনেছেন? অনেকের কাছে হয়তো নামটা পরিচিত, আবার কারো কাছে নয়। আচ্ছা, আপনারা শ্রী সিমেন্টের এর নাম শুনেছেন ? এটাও ঠিক তাই। কারো কারো কাছে পরিচিত নাম। তবে এটা ঠিক, এই নাম দুটোই ইস্টবেঙ্গল তথা পশ্চিমবঙ্গের ফুটবল প্রেমীদের কাছে পরিচিত নাম। শ্রী সিমেন্ট কোম্পানি গত বছর থেকে ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর। আর শ্রী হরিমোহন হলেন এই শ্রী সিমেন্ট এর কর্তা।
কিন্তু আসল সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। গত বছরই ইস্টবেঙ্গল এবং শ্রী সিমেন্টের মধ্যে তড়িঘড়ি করে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। কিন্তু সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত চুক্তি ছিল না। এ বছরের প্রথম থেকেই শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে চূড়ান্ত চুক্তি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের চুক্তির কিছু শর্ত পছন্দ না হওয়ায় তারা সই করছে না।
এমত অবস্থায় গত ১৯ আগস্ট ক্লাব কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আবার বৈঠকে বসে চুক্তিগুলি পর্যালোচনা করেন। কিন্তু সেখানেও কোনও ফলাফল না হওয়ায়, সেদিনের বৈঠক বাতিল হওয়ার মুখে কোনও এক মধ্যস্থকারীর ফোন আসে। যাতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে ক্লাবকে বলা হয়। শোনা যায়, সেই মধ্যস্থতাকারী আইএসএল এর মূল উদ্যোক্তা রিলায়েন্সের লোক।
এর মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নাকি তড়িঘড়ি করে চুক্তিতে সই করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এও শোনা যাচ্ছে, শ্রী সিমেন্টের কর্তা শ্রী হরিমোহন বাঙ্গুরের নাকি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। তিনি আর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে থাকতে রাজি নন। তিনি নিঃশর্তে ক্লাবের স্পোটিং রাইটস ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন।
এতদিন এই স্পোর্টিং রাইটস এর জন্য শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছে ৫০ কোটি টাকা দাবি করে আসছিলো। এর ফলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে চলা অচলাবস্থা কিছুটা হলেও দূর হতে পারে।
আগামী ৩১ আগস্ট ফুটবলের ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হচ্ছে। তাই ক্লাবকে যা করার এই ৩১ তারিখের মধ্যেই করতে হবে। ইস্টবেঙ্গল সর্মথকরা চান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুন। রিলায়েন্স এর সেই মধ্যস্থতাকারী এবং মুখ্যমন্ত্রী সমাধান সূত্র বের করতে পারেন কি না, তারজন্যই এখন অপেক্ষা করার পালা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন