Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

টাকার বিনিময়ে তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে ঢোকানোর চেষ্টা বিজেপির জেলা সভাপতির‌– বিজেপির হোয়াটস্‌অ্যাপ গ্রুপের এই মন্তব্য ঘিরে সরগরম বনগাঁর রাজনীতি

 The-politics-of-Sargaram-Bangaon

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিস্ফোরক মন্তব্য পোস্ট করাকে ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সেখানে বনগাঁ মহকুমার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি। এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করা হয়েছে। হোয়াটস্ অ্যাপের সেই বার্তা প্রকাশ্যে চলে আসায় ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে বনগাঁর বিজেপি নেতৃত্ব।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, গাইঘাটার তৃণমূল নেতা ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ কে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলে ঢুকিয়েছেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব। শুধু তাই নয়, সেই সময় বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক শংকর আঢ্যকে দেড় কোটি টাকার বিনিময় দলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এই মন্তব্যের ছবি প্রকাশ্যে চলে আসায় ফের আলোচনার শিরোনামে বনগাঁর বিজেপি নেতৃত্ব। এব্যাপারে শংকর আঢ্য বলেন, 'আমার রক্ত জল করা পয়সা‌। কোনও কালো টাকা নয় যে, দেড় কোটি টাকা দিয়ে আমাকে বিজেপিতে ঢুকতে হবে। এখনও সেই দুর্দিন আসে নি। আমি মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ১৯৯৮ সাল থেকে রয়েছি। আগামী দিনেও থাকবো। দলের জন্য লড়াই করে জেল খাটতে হয়েছে। রাজনীতি করবো না, তবুও অন্য দলে যোগদান করব না।' 

তিনি আরও বলেন, '‌দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমাকে প্রশাসক পদ থেকে সরে যেতে হলেও আগের মতো দলের কাজে যুক্ত যেমন ছিলাম, তেমনই থাকবো। নতুন যিনি প্রশাসক হয়ে এসেছেন, বনগাঁর উন্নয়নের স্বার্থে তাঁকে সাহায্য করবো। আমার নাম করে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যা লেখা হয়েছে, তা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল।'

অন্যদিকে, ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন‌,'রাজনৈতিক মতবিরোধ থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার জন্য এক পয়সাও কাউকে দিইনি। এই ধরনের মন্তব্য একেবারে হাস্যকর।'

এ ব্যাপারে ‌বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, 'কে বা কারা দলের বদনাম করতে এই ধরনের বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট করেছে, তা দেখা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আমার একার নিয়ন্ত্রণে চলে না। তবে কারা এটা করেছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে এই ধরনের কোনও পোষ্ট না করা হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। আর সংগঠন নিয়ে আমার কোনও মাথা ব্যথা নেই। কারণ, আমি বিধায়ক। আমি জনগণের সেবক।'

বিজেপির বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এই বার্তা চালাচালি বিজেপিকে যে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন