সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ে করার নাম করে যুবতীকে ফুঁসলিয়ে ঘরে আটকে রেখে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। আটক থাকা ওই যুবতী কোনওরকমে পালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে পেরেছেন। আর তারপর পুলিশের দারস্থ হয়েছেন।
বনগাঁ থানার মুড়িঘাটা গ্রামের বাসিন্দা, ১৯ বছরের ওই যুবতী বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বছর দেড়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুর থানার রামনগর কুঠিপাড়া এলাকার যুবক জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপর একাধিক নম্বর থেকে ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগ করে জয়ন্ত তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে। একসময় জয়ন্ত ওই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
জয়ন্তর কথায় বিশ্বাস করে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে মাস চারেক আগে জয়ন্তর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালান ওই যুবতী। জয়ন্ত তাঁকে নদীয়ার চাকদা থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে তোলে। সেখানে তাঁর সঙ্গে বসবাস এবং সহবাস করতে থাকে জয়ন্ত। পরবর্তিতে চাকদার সানু রায় এবং বহরমপুরের মাধব রায় নামে আরও দুই যুবক সেই বাড়িতে অবাধে যাতায়াত এবং যুবতীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। বিষয়টি জয়ন্তকে জানানোর পাশাপাশি বিয়ের কথা তুলতেই জয়ন্ত যুবতীকে মারধোর করতে থাকে।
জয়ন্ত তখন পরিষ্কারভাবে জানায় যে, সে তাঁকে বিয়ে করবে না, তাঁকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাবে। এব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা সবাই মিলে যুবতীকে মারধোর এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি করে দেবার হুমকি দেয়। এরপর থেকে তারা সবাই মিলে যুবতীর উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। মোবাইলে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে রেখে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবার হুমকিও দেয়। এই পরিস্থিতিতে বাপেরবাড়িতে কিছু না জানিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে চাকদার ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হন ওই যুবতী।
পরবর্তিতে যুবতী এও জানতে পারেন যে, এর আগে এই যুবকেরা এইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ আগে চাকদার ওই ডেরা থেকে সুযোগ বুঝে বনগাঁয় নিজের বাড়িতে পালিয়ে আসতে সমর্থ হন ওই যুবতী। এরপরেও ওই যুবকেরা তাঁকে ফোন করে নানারকম হুমকি দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বাড়ির লোকদের সমস্ত ঘটনা জানান ওই যুবতী। বাড়ির লোকেদের পরামর্শে এরপর বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন