সমকালীন প্রতিবেদন : আটকে পরা বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করতে পারলেই মিলবে পুরস্কার। বন দপ্তরের কর্মীদের উদ্যেশ্যে এমনটাই ঘোষনা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। মন্ত্রীর এমন ঘোষণায় বেশ খুশি বন দপ্তরের কর্মীরা। এতে কাজে আরও আগ্রহ বেড়ে গেল বলে প্রতিক্রিয়া বনকর্মীদের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর পাঁচটা দপ্তরের মতো বন দপ্তরও তার কাজ চালিয়ে গেলেও কোথায় যেন একটা খামতি ছিল। কিছুটা হলেও গুরুত্ব কম, না কি প্রচারের আড়ালে ? এখন এমন প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে। কারণ, এবারের মন্ত্রিসভা গঠনের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে বন দপ্তরের কাজকর্মে অনেক রদবদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেন নতুন করে জেগে উঠেছে এই দপ্তর।
বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে ধারাবাহিকভাবে বনদপ্তরের কর্মীরা নানা কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। মন্ত্রীর নির্দেশেই বিভিন্ন বনগুলি থেকে ধারাবাহিকভাবে কাঠ পাচার বন্ধ করতে অভিযান চলছে।
বনকর্মীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় পাচারকারীদের খপ্পর থেকে বহু মূল্যবান কাঠ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের শ্রীঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি পাচার হওয়ার আগেই বিভিন্ন প্রজাতির পশু, পাখি ধারাবাহিকভাবে উদ্ধার করে চলেছেন বন দপ্তরের কর্মীরা।
এইভাবে দপ্তরের কাজে যাতে আরও গতি আসে এবং ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তার জন্যই বন মন্ত্রীর এই নতুন ঘোষণা। এই ঘোষণার ফলে দপ্তরের কর্মীরা আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে আশা করছেন দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন