সমকালীন প্রতিবেদন : বাইরে থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধরের অভিযোগ উঠলো বনগাঁর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে সরগরম হয়ে উঠল বনগাঁ হাসপাতাল চত্বর।
বনগাঁ হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোম থেকে আইসিইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স এনেছিলেন এক রোগীর আত্মীয়রা। সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তার টেকনিশিয়ানকে মারধরের অভিযোগ উঠল বনগাঁ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে।
রোগীর পরিজনরা জানিয়েছেন, ৭ আগস্ট বনগাঁর জয়পুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা পরিমল সরকার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করে বনগাঁ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পরিজনেরা সেইমতো কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
রোগীর শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল থাকায় চিকিৎসকেরা আইসিইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার জন্য রোগীয় আত্মীয়দের পরামর্শ দেন। কিন্তু বনগাঁয় আইসিইউ যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় রোগীকে নেওয়ার জন্য কলকাতার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ একটি আইসিইউ সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়।
অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সটি বনগাঁ হাসপাতালে এসে দাঁড়াতেই বনগাঁ হাসপাতালের আম্বুলেন্স ইউনিয়নের কয়েকজন মদ্যপ অ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁদের ডাকে। বাইরে থেকে আসার জন্য তাঁদের কাছে টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। টাকা না দিতে চাওয়ায় ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও টেকনিশিয়ানকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও টেকনিশিয়ানের অভিযোগ। পাশাপাশি টেকনিশিয়ানের মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে রোগীর পরিজনেরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরবর্তীতে রুওগীর পরিবারের পক্ষ থেকে বনগাঁ হাসপাতালের ওই চালকদের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, এই হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত বনগাঁ হাসপাতাল চত্বরের অ্যাম্বুলেন্স চালক সঞ্জীব রায়কে বরখাস্ত করল ইউনিয়ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন