সমকালীন প্রতিবেদন : ভ্যাকসিন দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার একাধিক কেন্দ্রে গোলমালের সৃষ্টি হল। এর জন্য বিজেপির বিধায়ককে দায়ী করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে স্বজনপোষণ চলছে।
বনগাঁ পুরসভা এলাকায় পাঁচটি কেন্দ্র থেকে নিয়ম করে সাধারণ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় ভ্যাকসিন পেতে আগের দিন রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেকেই। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার অভিযোগ, 'ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভ্যাকসিন পারছেন না সাধারণ মানুষ।'
তাঁর অভিযোগ, 'শাসক দলের কিছু ব্যক্তি নিজেদের লোকজন ঢুকিয়ে তাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছে। অথচ যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, তারা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না।' মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, 'কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যবস্থা করলেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি বনগাঁতেও ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে অনিয়ম চলছে।' এদিন তিনি বনগাঁ টাউন হল এলাকার ক্যাম্পে পৌঁছাতেই সেখানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এ ব্যাপারে বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, 'কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনেই ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগে এলে আগে পাওয়ার ভিত্তিতেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোনও সুপারিশ গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। গোপাল শেঠের পাল্টা অভিযোগ, 'বিজেপি বিধায়ক ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে দিচ্ছেন। এমনকি স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টাও করেন। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, 'স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে টোকেন সিস্টেম চালু করলে সাধারণ মানুষকে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে না। তাতে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগও উঠবে না, দুর্নীতিও আটকানো যাবে।'
এই প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ বলেন, 'ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে টোকেন সিস্টেম চালু করার ব্যাপারে সরকারের কোনও গাইডলাইন নেই। ফলে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যারা আগে লাইনে এসে দাঁড়াবেন, সরবরাহ অনুযায়ী তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবেন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন