সমকালীন প্রতিবেদন : নানা কারণে সমুদ্রের জলে মিশে যায় তেল। আর তার কারণেই সমুদ্র দূষণ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমুদ্রের মাছ থেকে অন্যান্য জলচর প্রাণী। আর সমুদ্রে মিশে থাকা এই তেল শুষে নেওয়ার জন্য বিশেষ পদ্ধতির তুলো আবিষ্কার করলেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যেই তাঁর এই আবিষ্কারের পেটেন্ট পেয়ে গেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী অতনু ঝাঁ।
বিভিন্ন সময় কল কারখানার দূষিত তেল, তেল বোঝাই জাহাজ সমুদ্রে দূর্ঘটনার কবলে পরার মতো ঘটনার মাধ্যমে সমুদ্রের জলে মিশে যায় ক্ষতিকারক তেল। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমুদ্রের জলে ঘুরে বেড়ানো মাছ সহ নানারকম সামুদ্রিক প্রাণীর। এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে চলেছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তা নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা।
আর এবারে তার একটি উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অতনু ঝাঁ। পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা অতনু ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী শুভেন্দু রায়চৌধুরীর সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। অতনু সাধারণ তুলোকে পরীক্ষাগারে বিভিন্ন উপায়ে তার একটি নতুন রূপ দিয়ে একটি বিশেষ ধরনের তুলো তৈরি করেছেন।
সমুদ্রের দূষিত জলকে কিভাবে এই তুলোর মাধ্যমে দূষণ মুক্ত করা যাবে, সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিজ্ঞানী অতনু ঝাঁ জানান, 'পরীক্ষাগারে তৈরি এই বিশেষ ধরনের তুলো সমুদ্রের জলে মিশে থাকা তেল সহ অন্যান্য তরল রাসায়নিক পদার্থকে শোষণ এবং শোধন করে তোলার ক্ষমতা রাখে। দু কেজি তুলো একসঙ্গে ২৫ লিটার তেল শোধন করতে পারবে। এই বিশেষ তুলো একাধিকবার এই কাজ করতে সক্ষম অর্থাৎ একাধিকবার এই তুলোকে কাজে লাগানো যাবে।'
জানা গেছে, বিজ্ঞানী অতনু ঝাঁ এর এই আবিষ্কার ইতিমধ্যেই পেটেন্ট পেয়ে গেছে। তাঁর এই আবিষ্কার সমুদ্র দূষণ যথেষ্ট পরিমাণে কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন বড় আকারে এর বাস্তবায়নের অপেক্ষায় বিজ্ঞানী মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন